ঝিনাইদহে খাদ্যমন্ত্রীর অভিযান, অটোরাইচ মিলে লাখ টাকা জরিমানা

শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৭


:: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ::
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ঝিনাইদহের হাটগোপালপুরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে একটি রাইস মিলে অভিযান চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে শুভ প্রগতি এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড রাইস মিলে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ধান মজুত ও চালের সঠিক হিসাব না রাখার অভিযোগে মন্ত্রীর নির্দেশে মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে মিল মালিক তপন কুন্ডুকে সতর্ক করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ধান মজুদ রাখবে না বলে মুচলেকা নেওয়া হয়। 
সেসময় জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়াসহ প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে যে পরিমাণ ধানের মজুদ থাকার কথা তার চেয়ে বেশী রয়েছে। যা আইনের চরম লঙ্ঘন। মিল মালিকরা যদি ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাদের বিরুদ্ধে আরও বড় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটি তাদের মনিটরিং করবে। চাউল বাজারজাত কোনোভাবেই যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেকারণে মিলটি আপাতত বন্ধ করা হলো না।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ বিষয়ে ঝিনাইদহের চালকল মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন খাদ্যমন্ত্রী। জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে লোকাল সিন্ডিকেট থাকতে পারে। বড় বড় যে ব্যবসায়ীরা আছেন তারা নিজেদের মধ্যে মেসেজ চালাচালি করেন যে, আজকে কী দাম নির্ধারণ করবো। তারা যখন দাম বাড়িয়ে দেন তখন ছোট ব্যবসাীয়রাও সেই লাইনে চলে যান।
চালের বাজারের অস্থিরতার জন্য ব্যবসায়ীদের লোভ-লালসাকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, আমরা মোবাইল কোর্ট করে কাউকে অপমানিত করতে চাই না। যদি কেউ বাধ্য করেন তাহলে তো করতেই হয়।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে বর্তমানে যে চাল আছে তাতে আমদানি করার প্রয়োজন নেই। চালের বাজার নিয়ে যেন ম্যাসাকার না হয়ে যায় সেজন্য বেসরকারিভাবে চাল আমদানিতে ট্যাক্স ফ্রি করা হচ্ছে। তবে আসন্ন রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার যথেষ্ট কঠোর অবস্থানে আছে। আশা করা যায় দ্রব্যমূল্য আর বাড়বে না।

এমএসি/আরএইচ