ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়

বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪ ১৩:৫১


জুলহাস আহমেদ, বরগুনা:
বরগুনায় ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এতে হুমকির মুখে পড়ছে আবাদি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। আবাদি জমি পরিনত হচ্ছে অনাবাদিতে। এতে কমতে শুরু করেছে ফসলের উৎপাদন। সেইসাথে পার্শ্ববর্তী জমি মালিকদের মধ্যেও ভাঙন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়িরচর মৌজার,বুড়িরচর আলহাজ্ব মফিজউদ্দিন গাজী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ও বুড়িরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে ফসলি জমি থেকে এক্সকেভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা একটি মেশিন দিয়ে ছয়-সাত ফুট গভীরভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। এক জমির মাটি কাটায় অন্যদের জমি উঁচু হচ্ছে। এতে বাধ্য হয়ে তারাও মাটি অথবা জমি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এসব এলাকার মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করতে পাচ্ছেন না সাধারণ জনগণ।
স্থানীয়রা জানান, দিনরাত্রি অবাধে মাটি কাটা চলে। মাটি বহনে অবৈধ ট্রাক্টর (কাকড়া)  ব্যবহৃত হওয়ায় গ্রামীন রাস্তা গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। পাকা রাস্তা দিয়েও এসব মাটি বহন করা হয়। এর ফলে রাস্তাগুলোও ঝুকিপূর্ণ হয়ে গেছে। হালকা বৃষ্টি হলে রাস্তায় পরে থাকা মাটি পিচ্ছিল হয়ে এসব রাস্তায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।
তারা আরো জানায়, বরগুনা সদর উপজেলার ৪ নং কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ডৌয়াতলা বাজারে দুইশো মিটারের মধ্যে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি একটি মাদ্রাসা থাকার পরেও এসডিএন (SDN) ব্রিকসটি নিয়ম না মেনে তৈরি করা হয়েছে। এবং ৪.৫.৬ নং ইউনিয়নের ফসলি জমি থেকে এইসব মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যাতে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি এবং রাস্তাগুলোর ক্ষতি করছেন।
এবিষয়ে বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট হুমায়ূন কবির বলেন, আমি এখন মিটিংয়ে আছি পরে কথা হবে।
এবিষয়ে বুড়িরচর ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা পলাশ লস্কর বলেন, আমি বিষয়টি আগে দেখিনাই এখন এসে দেখলাম আমি বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা বলেন,ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি করার কোন সুযোগ নাই। আমি বিষয়টি শুনেছি এরকমটা করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএসি/আরএইচ