মাঠে দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন

সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ ২১:০১


প্রশান্ত কুমার দাস: বিশেষ প্রতিনিধি।
 
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই সোনার বাংলায় শ্রম আর ভালোবাসায় কৃষকের উৎপন্ন সবুজ ধানের চারাগুলি ইতোমধ্যে ধারণ করতে শুরু করেছে সোনালী রঙে। আর কৃষকদের রোপা আমন ধানের জমিগুলো হয়ে উঠেছে স্বপ্নভূমি। গত কয়েকদিন পটুয়াখালীর প্রত্যান্ত অঞ্চলে ঘুরে দেখা মিলে রোপা আমন ধানের সোনালী দৃশ্য। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নজর কাড়ছে আমন ক্ষেত। নানা ধরনের দুর্যোগ পেরিয়েও এবারে বাম্পার ফলনের আশা করছেন এসব অঞ্চলের কৃষকরা। পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, জেলার ৮ উপজেলায় সর্বমোট ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন কৃষকরা। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ২৪ হাজার ৪০৩ হেক্টর, বাউফলে ৩৪ হাজার ৬৭৪ হেক্টর, গলাচিপায় ৩৬ হাজার ০৫ হেক্টর, কলাপাড়ায় ৩০ হাজার ৭০০ হেক্টর, দশমিনায় ১৮ হাজার ১৬২ হেক্টর, মির্জাগঞ্জে ১০ হাজার ৫৫ হেক্টর, দুমকিতে ৬ হাজার ৬৪১ হেক্টর, রাঙ্গাবালীতে ২৯ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করা হয়েছে। পটুয়াখালীর উপজেলা গুলোর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আমন ধানের চারা রোপণের খরচ ও ফলন সম্পর্কে কৃষকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে জানান, প্রথম পর্যায়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চারা রোপনের সময় কিছুটা দীর্ঘ হলেও প্রকৃতিতে মারাত্মক কোন দুর্যোগ না ঘটায় চারাগুলো বেড়ে উঠেছে প্রাণবন্তভাবে। আর সামনে কোন বিপর্যয় দেখা না গেলে অন্য বছরের চেয়ে এবার রেকর্ড পরিমাণ ধান ঘরে তোলা সম্ভব। তারা আরও জানান, সার-কীটনাশক সহ শ্রমিক খরচ বৃদ্ধি হওয়ায় এবার ধান উৎপাদনে খরচ বেশি হয়েছে। তবে ফসলের কাঙ্ক্ষিত দাম পেলে কৃষকরা লাভবান হতে পারবে। পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, জেলায় ৭ হাজার কৃষককে প্রণোদনা সহ ভালো ফলনের লক্ষ্যে ২ হাজার ২৮০ জন কৃষককে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাই কম হয়েছে। এবারে পটুয়াখালীতে আনুমানিক প্রায় ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার মেট্রিকটন রোপা আমন পাওয়া যাবে। এছাড়াও ধানের দামও ভালো রয়েছে, প্রতি মন ধানের দাম এগারো'শ টাকারও বেশি। ফলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে আশা করছি।
 
 

এমএসি/আরএইচ