জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক জয়নাল আবেদীন’র গোমর ফাঁস!
বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৩১

আলমগীর ইসলাম ::
নীলফামারী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক জয়নাল আবেদীন’র গোমড় ফাঁস হয়েছে। দায়িত্বে থাকাকালীন ক্ষমতার দাপট, নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেটকে দিয়ে প্রকল্প অনুমোদনসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

গোপন সুত্র ও অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, নীলফামারী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান ও প্রশাসক জয়নাল আবেদীন দায়িত্বে থাকাকালীন নিজের ফায়দা লুটতে দালাল সিন্ডিকেট তৈরি করেন। এরপর সেইসব দালালদেরকে দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পিআইসির মাধ্যমে প্রকল্প দিয়েছেন। পরে এসব দালাল দিয়ে অনুমোদনকৃত প্রকল্পের ঠিকাদারদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ- প্রকল্পের জন্য দরপত্র না দিয়ে কৌশলে পিআইসির মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের ফাঁদ তৈরি করেছিলেন জয়নাল আবেদীন। সেই ফাঁদে অনেকটা বাধ্য হয়েই পা দিতেন ঠিকাদাররা। এতে করে প্রকল্প নিয়ে লাভ তো দুরের কথা বরং ঠিকাদারদের বড় ধরনের লোকসান গুনেছেন অনেকেই।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। যেন কেঁচো খুড়তে সাঁপের সন্ধান। মাস্টারোলের ভিত্তিতে জেলা পরিষদে ৬জন, নিজ বাড়িতে ৩জনসহ জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ডাকবাংলোতে ১জন, সৈয়দপুর উপজেলা ডাকবাংলোতে ১জন ও সদর উপজেলা ডাকবাংলোতে ১জন করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেন সাবেক এই চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক। তবে মাস্টাররোলে এসব জনবল নিয়োগের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
এসব অভিযোগের সত্যতা জানতে নীলফামারী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক জয়নাল আবেদীন –-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদক কে বলেন, “পিআইসি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি একটা বিধান আছে, মন্ত্রনালয়ের একটা বিধান আছে। কত পার্সেন্টটেস দিতে পারি আপনি সেটা জানেন আগে, আমরা একটা প্রকল্প বেশি দিতে পারিনা। আর মাস্টাররোলের ভিত্তিতে আমি কয়েকটা ক্লিনার দিয়েছি, ১৪ থেকে ১২ বিঘা জমির জন্য একটা ক্লিনার বা কেয়ারটেকার দিয়ে হয়না। তবে যা জনবল নিয়োগ হয়েছে সেটা বিধি মোতাবেক হয়েছে।”
এ নিয়ে থাকছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। চোখ রাখুন জেলা পরিষদ এর হালচাল নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের চতুর্থ পর্বে।
এমএসি/আরএইচ