কুমিল্লায় পাঁচ ইউপি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিয়ে সন্তুষ্ট ভোটাররা
সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ ২১:৩৮

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে পেরে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। অনেক ভোটার প্রথমবারের মতো ইভিএম-এ ভোট দিয়েছেন। ভোট দেয়ার পর তারা অনেক সহজ ও ঝামেলামুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন।
২৮ নভেম্বর ভোট দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় ভোটাররা এ কথা বলেন।

বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটারদের সাধারণ ভোটাররা বলেন, ব্যালট পেপারে ভোট দিতে হয় সিল মেরে। এরপর কাগজ ভাঁজ করে ব্যালটবক্সে ফেলানোর সময় দেখা সিলের কালি অন্য ঘরেও ছাপ পড়ে। এতে ভোট গণনার সময় বিপত্তি দেখা দেয়।
এছাড়া মেশিনে ভোট দিলে সময় অপচয় কম হয়। এসব কারণে ব্যালট পেপারের চেয়ে ইভিএমে ভোট প্রদান সহজ।
সাধারন ভোটাররা আরো বলেন, ইভিএম পদ্ধতি অনেক সহজ। প্রথমে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটারের নাম শনাক্ত করা হয়। ল্যাপটপের স্ক্রিনে ছবিসহ ভোটারের নাম এলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত বোতামে চাপ দিয়ে চূড়ান্ত করেন। এরপর গোপন কক্ষে ইভিএম মেশিন থাকে। এতে প্রার্থীর নাম ও প্রতীক থাকে। সেখানে পছন্দের প্রার্থীকে বোতামের চাপ দিতে হবে।
এরপর স্ক্রিনে প্রার্থীর নাম ও প্রতীক দেখা যায়। ইভিএম মেশিন থেকে আপনি কোথায় ভোট দিলেন সেটাও দেখাচ্ছে। এরপর সবুজ বোতাম (নিশ্চিত ভোট) চাপ দিলেই ভোট সম্পন্ন হয়ে যায়। এইভাবে প্রার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী ভোট দিতে হয়।
ফকিরমুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম( ৮৪)। তিনি জানান, প্রথমে ভয়ে ছিলাম কিভাবে ভোট দিবো। কিন্তু পরবর্তী দেখলাম পদ্ধতি বেশ সহজ। মেশিনে ভোট দিয়ে অনেক ভালোই লাগছে।’
সানন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আবু নাইম বলেন উপায়টা তুলনামূলক সহজ, তবে যারা লেখাপড়া জানেন না তাদের জন্য এটা কঠিন হবে।’
মধ্যম বিজয়পুর কেন্দ্রে ভোট দেয়া আনোয়ারা বলেন, ‘খুবই সহজে ভোট দিয়েছি। সামনেও ডেনো ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট হয় এটাই কামনা করি।
শ্রীমন্তপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়া মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, ইভিএম পদ্ধতিটা আধুনিক। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটাই তার প্রমাণ। দেশ এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমাদের প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ মেশিনে ভোট দিয়ে অনেক খুশি। মোটকথা, ভোট বাদ পড়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ভোট দিতে এসেছিলেন দুই ইপিজেট কর্মী জানায়, ইভিএম সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা ছিল না। অনেক প্রার্থীর লোকজন বাসায় গিয়ে আগেই বলেছিলে কেমনে কেমনে চাপ দিয়ে ভোট দিতে হবে। বুথেও দেখিয়ে দিয়েছে। ভোট দিয়ে আমার অনেক ভালো লাগতেছে। আগামীবার আর দেখাতে হবে না। আসলেই মেশিনে ভোট দেয়া সহজ।
এমএসি/আরএইচ