৭১২ কোটি টাকার প্রকল্পের বাঁধে জাহাজ নোঙর, হুমকিতে বাঁধ

মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৩৬


মিশু সিকদার, বাউফল ::
পটুয়াখালীর বাউফলের ৭১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ধুলিয়া ইউনিয়ন রক্ষা বাঁধের সাথে মালবাহী জাহাজ  নোঙর করায় হুমকিতে পড়েছে নদী ভাঙন রক্ষা বাঁধটি। নোঙর করার জন্য ব্যবহৃত অ্যাংকরে বেঁধে বাঁধের বিভিন্ন অংশের জিও ব্যাগ ফেটে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আবারও সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাক্ষুসে তেঁতুলিয়ার ভাঙন। ফলে ধুলিয়াবাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্কের ছাপ। 

স্থানীয় একটি মহল বালু, পাথর ও ইট আনলোড করতে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে জাহাজ নোঙর করার সুযোগ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। বাঁধ রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি স্থানীয়দের।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ধুলিয়া বাজারের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের নদী ভাঙন রক্ষা বাঁধের সাথে  সারি সারি   কার্গো জাহাজ নোঙর করে রাখা হয়েছে। শ্রমিকেরা জাহাজ থেকে  ইট, বালু ও পাথর আনলোড করছেন। এভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৫/২০টি জাহাজ বাঁধের সাথে নোঙর করে আনলোড করা হয়। নোঙর করার সময় জাহাজের ধাক্কায় বাঁধের জিও ব্যাগ ফেটে বালি নদীর পানিতে মিশে যাচ্ছে। এতে নতুন করে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জাহাজের ম্যানেজার ও স্থানীয়রা বলেন, ধুলিয়া ইউনিয়নের একটি মহল মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে  বালু-পাথরের লোড জাহাজ আনলোড করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। জাহাজ প্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে চাঁদা। 

স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী বলেন,‘ এভাবে বাঁধের সাথে জাহাজ নোঙর করলে জিও ব্যাগ ফেটে বালু বের হয়ে  যাচ্ছে। স্রোতের সাথে জিও ব্যাগ সরে গিয়ে নিচের মাটি  আবারও ভাঙতে শুরু করছে।

তথ্যমতে, গত কয়েক বছরে রাক্ষুসে তেঁতুলিয়া নদী ভাঙনে ধুলিয়া ইউনিয়নের প্রায় দেড়  কিলোমিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ২০২০ সালে ধুলিয়া  ও বরিশালের দুর্গাপাশা ইউনিয়ন রক্ষায়  একনেকে ৭১২  কোটি টাকা ব্যয়ে নদী ভাঙন রক্ষা বাঁধ  প্রকল্প পাশ হয়।

২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ওই প্রকল্পের আওতায় নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। ধুলিয়া ইউনিয়নের মাঠবাড়িয়া থেকে দুর্গাপাশা পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়। এতে স্বস্তি ফিরে স্থানীয়দের মাঝে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আল - আমিন বলেন,‘ খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএসি/আরএইচ