হরিনাকুন্ডুতে নবগঙ্গা নদী বাঁচাতে পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৩১


হরিনাকুন্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু রিশখালী, সোনাতপুর, ভূইয়া পাড়া ও ভেড়াখালী গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গা নদীকে, ১৯২৬ সালে থেকে এই এস এ খতিয়ানে লিপিবদ্ধ আছে আর এস এ নদী বলে উল্লেখ আছে যে, ২০১১ সালের জেলা প্রশাসকের কাছে একটি কুচক্র মহল সবকিছু মেনেজ করে খাতা কলমে নদীকে বাওড় দেখিয়ে ইজারা নেয় জনতা মৎস্য জীবী সমিতি,এই মৎস্য জীবি সমিতি এখানেই শেষ করি নাই নিজেদের ইচ্ছে মত তৈরি করেছে সদস্য যাহার কোন দিন নদীর ধারে কাছে যাই না।

কেও ডাক্তার,শিক্ষক, ব্যবসায়িক, আবার বড় রাজনৈতিক লোক তাদের হয়েছে স্মার্ট মৎস জীবি কার্ড,পাচ্ছেন ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা,নদীকে নিজেদের আওত্তে রেখে সাব লিজের ব্যবস্থা করেছে জনতা মৎস জীবি সমিতি।যাহা প্রতি মাসে মাসে ঘরে বসেই টাকা বাড়িতে পৌছে যাই।ভেড়াখালী, ভুইয়া পাড়া, সোনাতনপুর,এলাকার ২ কি,মি অংশে চারটি বাধ দেওয়া হয়েছে ফলে প্রবাহ সংকট পড়েছে।

বর্ষা মৌসুমে নদীর ওই অংশের ৭০ টি ঘরবাড়ি ভাঙ্গনের কবলে অপর একটি পাড়ে আবাদি জমির ধ্বংস হয়ে পড়ছে।গতকাল রবিবার বিকাল ৩ টায় জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম সরজমিনে নদীটি পরিদর্শন করেন এবং জনগনের দুঃখ দুরদশার কথা শোনেন এবং নদীকে দখল অবমুক্ত করার জন্য আশ্বাস্থ করেন। জেলা নবগঙ্গা পরিষদের আহবায়ক সাইফুজ্জান শিমুল বলে বছরের পর বছর ধরে এই একটি কুচক্রী মহল নদীকে দখল করে রেখেছে, অনেক আন্দলন করেও কোন লাভ হচ্ছে না।

ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব রাজিবুল ইসলাম খান পরিদর্শন শেষে জনগনকে বলেন ইতোমধ্যে এসব নদী থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইজারা দেওয়া থাকলে তা বাতিল করা হবে।

হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা নদী দখল মুক্ত করার জন্য হরিণাকুন্ডু সহকারী কমিশনার ভূমি সেলিম আহমেদ কে দখলদারিদের সকল প্রকার কাগজ পত্রের তথ্যাদি সংগ্রহ ও জনগণের সুবিধা অসুবিধা গুলো লিখিত আকারে নিতে বলেন। দীর্ঘ ৩ ঘন্টা পরিদর্শন কালে জনগনের বক্তব্য লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ করেন।

হরিণাকুন্ডু সহকারী কমিশনার ভুমি সেলিম আহমেদ, এবং লিখিত গুলো জেলা প্রশাস বরাবর প্রেরণ করবেন বলে জানান, এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা, থানা অফিসার ইনর্চাজ আব্দুর রহিম মোল্লা, উপজেলা সমবায় অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন, দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন আমি জনগনের ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছি, আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টি থেকে বলতে চাই নদী চলবে তাহার আপন মনে।সেখানে বাধা দিয়ে কিছু অসাধু লোকে শতশত মানুষের ক্ষতি করে গুটি কয়েকজন লোক টাকার পাহাড় গড়বে সেটা হতে দেওয়া যাবে না।আমি আমার এলাকার মানুষের সুযোগ সুবিধা ভালো মনে করবে আমিও তাহাদের পক্ষে আমি চাই নদীতে কোন বাধ থাকবে না।

এমএসি/আরএইচ