সুন্দরবনে রাস পূর্ণিমার পুণ্যস্নানে তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতে ৫টি রুট নির্ধারণ বনবিভাগের

রবিবার ১৪ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৪৫


:: শেখ নাদীর শাহ্, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ::

সুন্দরবনের দুবলারচরে এবারেও মেলা অনুষ্ঠিত না হলেও বিগত বছরগুলোর ন্যায় আগামী ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে ‘পুণ্যস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে।

তবে তীর্থযাত্রীদের দুবলারচরে নির্দিষ্ট স্থানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগ পাঁচটি রুট নির্ধারণ করেছে।

অনুমোদিত পাঁচটি রুট হলো, (১) বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা খাল হয়ে, হংসরাজ নদী হয়ে দুবলারচর, (২) কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা ও শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর, (৩) নলিয়ান স্টেশন থেকে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর, (৪) ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর, (৫) বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর। তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় ঐ সকল পথে  বনবিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল নিয়োজিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূর্ণিমা পুণ্যস্নানে কেবল তিন দিনের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুমতি দেয়া হয়েছে। মাস্কবিহীন কোন তীর্থযাত্রীকে যেতে দেয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে। তাছাড়া অনুষ্ঠান স্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াস রাখা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

আগামী ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর এ তিন দিনের জন্য তীর্থযাত্রীদের অনুমতি প্রদান করা হবে এবং প্রবেশ পথে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। তীর্থযাত্রীরা নির্ধারিত রুটের মধ্যে পছন্দ অনুযায়ী একটি মাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং শুধুমাত্র দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবেন।বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌযান থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রঙ দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। রাস পূর্ণিমায় আগত পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র সাথে রাখতে হবে।

তথ্য বিবরণীতে আরোও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এমন বস্তু, শব্দযন্ত্র বাজানো, পটকা ও বাজি ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যে কোন অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, হরিণ মারার ফাঁদ, কুড়াল, দড়ি ইত্যাদি বহন করা যাবে না। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালে সবসময় টোকেন ও টিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলারকে আলোরকোলে অবস্থিত কন্ট্রোলরুমে আবশ্যিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

 

এমএসি/আরএইচ