সিরাজদিখানের মাটির তৈরি দইয়ের পাত্র

বৃহস্পতিবার ৩১ মার্চ ২০২২ ১৪:১৯


আহসানুল ইসলাম আমিন, মুন্সীগঞ্জ ::
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও রফতানি হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দানিয়াপাড়ার মাটির তৈরি দই এর পাতিল। রাজধানী ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে সিরাজদিখানের মৃত্তিকা শিল্পীদের তৈরি দই এর পাতিলের কদর দিন দিন বাড়ছে। তবে সরকারিভাবে মৃত্তিকা শিল্পের উন্নয়নে সহযোগীতা করলে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশী এ পণ্য বিপ্লব ঘটাতে পারবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার দানিয়াপাড়া পালবাড়ীর মাটির তৈরি ছোট বড় দই এর পাতিল আমিরিকা এবং মধ্যপ্রাচের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকার মৃত্তিকা শিল্প  লোকনাথ পাল বলেন, জ্ঞান হবার পর থেকেই  মৃত্তিকা শিল্পি কাজের সাথে জড়িত আছি, এক মাটির তৈরি পণ্যের অনেক চাহিদা ছিলো। এখন আর আগের মতন চাহিদা নেই শুধু মাত্র মাটির তৈরি দই এর পাতিলের চাহিদা আছে। আগে বিভিন্ন ধরনের খেয়নলা তৈরি করলেও বর্তমানে চাহিদা না থাকায় শুধু মাত্র দই এর পাতিল তৈরি করি। 

তিনি জানান, আমাদের তৈরি মাটির পাতিলের সুনাম আছে সারাদেশে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক আসে আমাদের তৈরি মাটির পাতিল কিনতে। এছাড়াও এখন থেকে পাতিল কিনে ঢাকা থেকে অ্যামেরিকা এবং আর কয়েকটি দেশে তারা পাঠায়। 

নারায়ণ পাল বলেন এই পাড়ার ২৬টি পরিবার মৃত্তিকা শিল্পের সাথে জড়িত, এ শিল্পের আধুনিকায়নের জন্য সরকারের বিশেষ দৃষ্টি ও ঋণ সহায়তা প্রয়োজন। গত কয়েক বছর চৈত্র সংক্রান্তি মেলা, বৈশাখী মেলা হয়নি-তাই দই এর পাতিল ছাড়া অন্য কোনো পণ্য বেচাকেনা হয়নি। যে বেচাকেনার ওপর ভর করে সারা বছরের অন্নের সংস্থান হয়, নিজেরা সরাসরি বিদেশে রফতানি করতে পারলে ভালো হতো। তবে এবছর হয়তো চৈত্র সংক্রান্তি মেলা, বৈশাখী মেলা হবে। যদি মেলা হয় তা হলে খেলনা তৈরি করবো। 

উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার ডলি রানী নাগ বলেন, ইতি পূর্বে উপজেলা যুব উন্নয়ন থেকে দুই ধাপে ৮০ জন মৃত্তিকা শিল্পী-কে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এবং তাদের সাথে আমরা কথা বলেছি সরকারি ভাবে যদি তাদের ঋণ সহয়তা প্রয়োজন হয় তা হলে তাদেরকে আমরা ঋণ সহয়তা প্রদান করবো। এছাড়া মৃত্তিকা শিল্পের বিকাশে আমরা তাদের সবরকম সহয়তাও প্রদান করবো।  

এমএসি/আরএইচ