সারাবিশ্বে সাইবার সিকিউরিটিতে নেতৃত্ব দিবে বাংলার যুবকেরা :জুনাইদ পলক

শনিবার ৮ অক্টোবর ২০২২ ২২:০৭


:: মিলন হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ::
আগামীতে সারাবিশ্বে সাইবার সিকিউরিটিতে নেতৃত্ব দিবে বাংলার যুবকেরা এমনটাই বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক (এমপি)। তিনি আরও বলেন, বাংলার যুবকেরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে সারাবিশ্বে ন্যায় এদেশে কাজ করবে। 
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটির) কর্তৃক এশিয়া আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক আইসিপিসির প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনায়েদ আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলাম এদেশের মানুষকে একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি উপহার দিতে। এজন্য ৫০ বছর পূর্বে বিজ্ঞানী ড. কুদরতে খুদার নেতৃত্বে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেছেন কিন্তু তিনি সেটা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। ঘাতকের নির্মম বুলেটের গুলিতে জীবন হারানোর জন্য। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিইউবিটির শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা আইসিটি ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে না বরং সমস্যা সমাধান করে। বিইউবিটির শিক্ষার্থীরা তিনটি অ্যাপস তৈরি করেছে নতুন চমক নিয়ে। আমরা আইসিটি ডিভিশন থেকে তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবো। আজকাল আমাদের তরুণ সমাজ শুধু চাকুরী করে না উদ্যোক্তা হিসেবে চাকুরী তৈরি করে অন্যদেরকে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেয়। বাংলাদেশের এখন ৫০ ভাগের অধিক জনসংখ্যার বয়স ৩৫ বছরের নিচে। আমাদের দেশ এখুনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাওয়ার উপযুক্ত সময়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ল্যাব তৈরি করেছি আমরা যাতে দেশের সকলে স্কুল - কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কোডিং এবং প্রোগ্রামিং শিখতে পারে। আমরা সারাদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আগে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে তথ্য প্রযুক্তিতে শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরীতে নেতৃত্বে দিবে বিশ্ব দরবারে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে টিমটি চ্যাম্পিয়ান হবে তারা সরাসরি আন্তজার্তিক আসরে সরাসরি অংশগ্রহণ করবে। আমাদের প্রোগ্রামাররা আগামীতে সারাবিশ্বে আইসিটি খাতকে নেতৃত্বে দিবে। করোনার সময়ে আমরা অনলাইন পশুর হাটে ৩ লাখ ৪৭ হাজার পশু দুইশো ৪৭ কোটি টাকা বিক্রি হয়েছে। আমরা বিজয়ী জাতি, আমরা দুর্বার, আমরা প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাবো দুর্বার গতিতে। 
অনুষ্ঠানের শুরুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিইউবিটির উপ - উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী নূর বলেন, এ প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য এ ধরনের অনুষ্ঠান আগামীতে বিইউবিটি আরও আয়োজন করবে। 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে খনিজ সম্পদ বেশি নেই তবে আমাদের একটি মূল্যবাব সম্পদ আছে যুব সম্পদ। যা দেশের ১৫-২৭ বছরের বয়সের যুবকেরা। শিক্ষার্থীরা যখন সমস্যা সমাধান করে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করে তখন তাদের নতুন নতুন আবিষ্কার সৃষ্টি হয় এদেশের কল্যানে। 
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রধান করেন সোসাল ইসলামি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাফর আলাম, থেরাপ বিডি লিমিটেডের পরিচালক মেজর জেনারেল মো. শামীম চৌধুরী, বিইউবিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এ এফ এম সরোয়ার কামাল, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক রঞ্জিত কুমার, আইসিপিসি বিচারক শাহরিয়ার মঞ্জুরসহ আরও অনেকে। 
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফায়ৈজ খান বলেন, ভেঙেছে দুয়ার এসেছে জয়, তোমারি হোক জয়। এদেশে এগিয়ে যাবে তরুণদের হাত ধরে। 
চ্যাম্পিয়ন হলেন যারা:
প্রথম স্থান অর্জন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবির) DU_NotStrongEnough দল এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন যথাক্রমে বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) BUET Potatoes দল ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবির) JU_kzvd4729 দল।

এমএসি/আরএইচ