সাপাহারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের বেহাল দশা

রবিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২২ ১৪:২৫


সাখাওয়াত হাবীব লিটন, সাপাহার:
সাপাহার হতে জেলা সদর ও রাজধানীতে যাবার একমাত্র প্রধান সড়ক। সড়কের মধ্যেবর্তী গোডাউন পাড়ার পেট্রোলপাম্প সংলগ্ন একাংশে সারাবছর জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। সামান্য বৃষ্টিতেই প্রায় হাঁটু পানি জমে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি নিষ্কাশন হয় সড়কের উপর দিয়েই। যার ফলে বার বার সড়কটি সংস্কার করা হলেও কার্পেটিং উঠে যায়। খানা-খন্দে পরিণত হয় সড়কটি।যাতে করে যানবহন সহ পথচারীদের পড়তে হয় মহা ভোগান্তিতে। কাদা ও ময়লা পানির কারণে পথচারীদের চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সাপাহার-নজিপুর সড়কটির পাশ দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটারের মধ্যে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। আশপাশের বাড়ীর ব্যবহৃত পানি সড়কের পাশে জমে থাকে। সড়ক ও জনপথ থেকে বার বার সড়কটি সংস্কার করা হলেও উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। যার ফলে রাস্তা ভেঙ্গে পরিণত হচ্ছে খানা-খন্দে।
জেলা শহর হতে রাজধানী পর্যন্ত যাওয়ার জন্য এটিই একমাত্র সড়ক। এই সড়কের উপর দিয়ে নাইট কোচ,ডে কোচ সহ নানা ধরণের যানবহন ও পথচারীদের চলাচলে মুখরিত থাকে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষের চলাচল। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এছাড়াও খানা-খন্দ সৃষ্টি হবার ফলে রাস্তায় চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। যার কারনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ পথচারীদের। ব্যস্ততম সড়কের এরূপ বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পতিত হবার সম্ভাবনায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ। পণ্য পরিবহন সহ রোগী বহন করার একটি মাত্রই সড়ক। শুধু তাই নয় দেশের সর্ববৃহৎ আম বাজার বসে এই সড়কের পাশেই। এই স্থানে যানজটের ফলে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্তি সময় লাগছে বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা আজাহার আলী বলেন, সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং কর্তৃপক্ষের অনীহায় এধরণের বেহালদশা পোহাতে হচ্ছে। আশপাশের বাড়ীর ব্যবহৃত পানি রাস্তার পাশে জমে থাকছে। স্থানীয়রা নিজ উদ্যেগে পানি পার করার ব্যবস্থা করলেও কর্তৃপক্ষের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকে বর্ষার পানি। সড়কের উপর দিয়েই নদীর মতো পানি প্রবাহিত হতে হতে থাকে। যেকারনে সড়কে ফাটল ধরে কার্পেটিং উঠে যায়।

একাধিক আম ব্যবসায়ী জানান, আমের মৌসুমে এমনিকেই এই সড়কে চরম যানজট থাকে। তার উপর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে যায়। যার কারনে যানজট বেশি হয়। যাতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হয় চালক,আড়ৎদার সহ আম ব্যাপারীদের।

অপরদিকে উপজেলার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ড্রেনটি সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতার অভাবে সারাবছর জলাবদ্ধতা থাকে। লোক চলাচলের জন্য এই সড়কটিও প্রায় অনুপযোগী হয়ে থাকে প্রতিনিয়তই। যার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ পথচারীদের চলাচলে চরম বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়। আশপাশের বাসিন্দারা ড্রেনে বর্জ্য পলেথিন, ময়লা-আবর্জনা ফেলে পানি নিষ্কাশনের অনুপযোগী করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ পথচারীদের।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বেশ কয়েকবার নিজ উদ্যেগে ড্রেন পরিষ্কার করেছি। কিন্তু আশপাশের লোকেরা যদি পরিস্কার না রাখতে চায় তাহলে তো আর করার কিছু থাকেনা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থার অনে কার্যক্রম চলমান। বিষয়টি সরেজমিনে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন মন্ডল বলেন, উল্লেখিত জায়গাটিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা জরুরী। আমি দেখেছি সড়কটির বেহাল দশা। এটি সড়ক ও জনপথের কাজ। আশা করি উনারা বিষয়টি আমলে নিয়ে শীঘ্রই নিরসনের ব্যবস্থা করবেন।

এমএসি/আরএইচ