সাদাকাত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগ

মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ ১৫:২৯


রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ::
কুড়িগ্রাম রাজিবপুর উপজেলার সাদাকাত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ (মধুর) বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যের,অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির সঙ্গে যোগসাজশে তিনি কাজটি করেন। 

এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা, বিভাগীয় শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ অনুসারে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে তার বিদ্যালয়ে উপস্থিতি খুবই বিরল। তিনি তার নিজ বাড়ি রাজিবপুর সদর উপজেলা হতে আঙ্গুলী ইশারায় বিদ্যালয়ের কাজকর্ম পরিচালনা করে আসছেন। তিনি একজন শৈর শাসক হিসেবে ম্যানেজিং কমিটির কোন মূল্যায়ন, তোয়াক্কা তথা প্রয়োজন আছে বলে স্বীকার করেন না।

তিনি নিজের মর্জি মাফিক কায়দা-কৌশলে একজন সভাপতি তৈরি করে নিয়েছেন, যাকে তার তুলপিবাহক বললে অত্যুক্তি হবে না।

এছাড়াও অভিযোগকারীরা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, বিদ্যালয়ে নাকি জনবল কাঠামোতে অফিস সহায়ক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও আয়া পদ শূন্য আছে। তিনি যে মাসে স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কখন, কিভাবে সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে অফিস সহায়ক ও আয়া পদে লোক নিয়োগ দিয়ে তাদের বিল ভাতা প্রাথী পর্যন্ত পৌছে দিয়েছেন,আমরা ঘুনাক্ষরেত এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। নিয়োগ বাণিজ্য তহবিল সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য সূত্রে জানা গেল ক্রমানুসারে সর্বমোট ২২ লক্ষ ঢাকা প্রার্থীদের কাছ থেকে নগদ আদায় করে নিয়েছেন। এত বড় চাঞ্চল্য কর তথ্য আমরা অদ্য জানতে পারলাম।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার তুলপীবাহক সভাপতির সমন্বয়ে এই মূলধন গুটিয়ে নিয়েছেন, কাছে এই ন্যাক্কারজনক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সামনে আবার যাতে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে লোক নিয়োগ দিতে না।

প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবুল হোসেন বলেন, আমাদেরকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন আমরা এ বিষয়ে কিছু জানিনা। আমি এই অবৈধ নিয়োগের নিন্দা জানাই ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
অভিভাবক সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, কোদালকাটি সাদাকাত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক ও একজন আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিভাবে,কখন নিয়োগ দিল তা আমার জানা নেই।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ (মধু) বলেন, আমরা নিয়ম এর মাধ্যমে সার্কুলার দিয়েছি এবং কমিটির রেজুলেশনের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করেছি।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে।

কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির (ছক্কু) বলেন, নিয়োগ এর বিষয়ে আমি কিছু জানি না।তবে বিষয়টি পরে জানতে পারলাম চুরি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি,এই অভিযোগ পরিচালক বরাবর দেওয়া হয়েছে। উপর থেকে নির্দেশনা দিলে আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএসি/আরএইচ