সদরঘাটে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে বাস শ্রমিকদের বিক্ষোভ

সোমবার ৩১ জানুয়ারী ২০২২ ১৭:৪৬


মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ:

ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় বিক্ষোভ করেছে বাসের চালক ও সহযোগীরা।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ভিক্টোরিয়া পার্ক সংলগ্ন এরিয়ায় প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে আন্দোলন চলমান ছিল। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সদরঘাট সংলগ্ন সকল বাস থেকে মামলার ভয় দেখিয়ে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করে থাকেন। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া এমনকি ড্রাইভার অথবা হেলপারকে মারধর করারও অভিযোগ করেন তারা।

আন্দোলনরত সাভার পরিবহনের ড্রাইভার মো. রাশেদ বলেন, মধু নামে ওই সার্জেন্ট অকারণে গাড়ি ধরে ৫০০ টাকা চেয়ে বসেন। টাকা না দিলে আড়াই হাজার অথবা পাঁচ হাজার টাকার মামলা দিয়ে দেন। সদরঘাটের এমন কোনও গাড়ি নেই যেই গাড়ি থেকে মধু স্যার টাকা নেননি।

সাভার পরিবার আরেক ড্রাইভার আবুল হোসেন বলেন, ওনাকে টাকা দেওয়া না দেওয়ায় উনি আমাকে ঘুষি মেরেছেন। শুধু আমি না, টাকা না দেওয়ায় আরও অনেকের গায়ে উনি হাত তুলেছেন। আমরা সবাই আমাদের নাম-ঠিকানাসহ লিখিত অভিযোগও করেছি, কোনও সমাধান হয়নি। তাই আজ আন্দোলন করছি। আজও প্রায় ২০ জনের মতো ওনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।

আজমেরী পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, সার্জেন্ট মধুর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। রোডে গাড়ি চললেই ওনাকে চাঁদা দিতে হয়। যার জন্য আজ আমার সবাই মিলে এর প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছি। আমরা চাই এর সুষ্ঠু বিচার হোক।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সার্জেন্ট মধু। তিনি বলছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি কখনও কারও কাছ থেকে চাঁদা নেইনি। গাড়ির কাগজপত্রে সমস্যা থাকলে অথবা নির্দিষ্ট এরিয়ার বাইরে গাড়ি গেলে আমি আইনত মামলা দেই। ড্রাইভাররা টার্মিনালের দিকে গাড়ি নিয়ে যায় অথবা উল্টো পথে গাড়ি আনা-নেওয়া করে। তখন আমি মামলা দেই।’

এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আজ সকালে একটা গাড়িতে মামলা দেওয়ার পর এরা সবাই অহেতুক রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমি যদি চাঁদা নিয়ে থাকি তাহলে তদন্ত করা হোক। তারপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এমএসি/আরএইচ