শৈলকুপায় রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, কাজ বন্ধ করল এলাকাবাসী

রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ ১১:১৯


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ::

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিম্নমানের আমা ইট, খোয়া ও বালু দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে এলাকাবাসি বার বার অবহিত করলেও নগদ নারয়নে তুষ্ঠ হয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসি রাস্তা নির্মানের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার মৌকুড়ী মাষ্টার মোড় থেকে কাতলাগাড়ি বাজার পর্যন্ত ৩৬৬০ মিটার রাস্তা সংস্কার কার্যাদেশ পায় শৈলকুপার মেসার্স শিকদার এন্টারপ্রাইজ এর ঠিকাদার মোস্তাক শিকদার। এই কাজে সরকারী ব্যায় ধরা হয় প্রায় দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, একেবারেই নিম্নমানের ইট খোয়া দিয়ে চলছে এই রাস্তা নির্মাণ কাজ। তদারকিতে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কাউকে দেখা যায়নি। ইচ্ছামত ঠিকাদার এসব নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ করছে। কিছু কিছু স্থানে রোলার করা হলেও বেশির ভাগ করা হচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে পোড়ামাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে রাস্তায়। বর্তমান এলাকাবাসিদের তোপের মুখে ঠিকাদার সাময়িক কাজ বন্ধ রেখেছে।

উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, এই পাকা রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট, খোয়া, বালু। এসব নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা সাময়িক কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের দাবী ভালমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হোক।

স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি প্রথম থেকেই অনিয়ম করা হয়েছে। থার্ডক্লাস ইটের খোয়া বিছয়ে তার উপর রোলার দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এই রাস্তা নির্মাণ শেষ পর্যায়ে আসলেও কাজের মান নিম্নমুখী। কাজের দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ক এ্যাসিসটেন্টরা দেখেও না দেখার ভান করে।

এ বিষয়ে রাস্তা নির্মান ঠিকাদার ও শিকদার এন্টারপ্রাইজের মালিক মোস্তাক শিকদার বলেন, এই রাস্তা নির্মাণে কিছু খারাপ ইট গিয়েছে। তবে আমি খারাপ ইটগুলো সরিয়ে নিতে বলেছি। যে খারাপ ইটগুলো রুলার হয়ে গেছে সেখানেও তুলে ভাল ইট দিয়ে কাজ করবো।

শৈলকুপা উপজেলা প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র নন্দী বলেন, আমি শুনেছি নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ হচ্ছে। এসব মালামাল ঠিকাদারকে সরিয়ে নিতে বলবো। আমি এখনই সাইডে লোক পাঠাচ্ছি। কোন নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে দেয়া হবে না বলে গনমাধ্যমকর্মীদের শান্তনা দেন।

এমএসি/আরএইচ