শিবচরের জনবান্ধব ইউএনও আসাদুজ্জামান

মঙ্গলবার ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৪৩


রাহাত হোসেন, শিবচর:

সরকারি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জনগণের রয়েছে অনেক অভিযোগ। এর মধ্যে ব্যতিক্রম জনবান্ধব, পরিশ্রমী মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান।

শিবচর উপজেলায় যোগদান করে প্রায় তিন বছরেই তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। শিবচর উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালসভাবে কাজ করছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

গত ২০১৯ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারী তিনি শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি শিবচর উপজেলা প্রশাসনকে নিজের মতো করে ঢেলে সাজান। তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা ফিরে আসতে শুরু করে। কমে যায় জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পায় জনসেবার মান।

উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

তাছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করে তোলা, সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ এবং বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়াও ২০২১ সালে ২১ জুন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও শিবচর পৌরসভার নির্বাচনটি জনগণের আশা, আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটনায় শিবচরের মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন এই অফিসার।

জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদানের এক বছর পরই মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। করোনাকালের শুরুতে থেকে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ মোকাবিলায় পুরো উপজেলার তিনি ‘রক্ষাকর্তা’র ভুমিকায় উপনীত হন। রাতে কিংবা দিনে করোনাকালীন সময়ে তিনি মাঠ ছাড়েননি। এজন্য তিনি নিজেই একবার মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হন। তবুও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করে শুরুতেই তিনি পুরো উপজেলায় তাক লাগিয়ে দেন।

ইউএনও’র এসব সাফল্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শিবচরের একজন সাংবাদিক দেলোয়ার হোসাইন বলেন,‘সরকারের একজন উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং মানবসেবক হিসেবে ইউএনও স্যার অসাধারণ একজন মানুষ। সরকারের অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে তিনি সঠিক ভাবে পালন করেছেন। তার ভালোবাসা এবং সততায় শিবচরের আপামর জনসাধারণ মুগ্ধ, যা আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপসহ দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।’

ইউএনওর কাজের প্রসংশা করতে গিয়ে মাদারীপুর জেলা তথ্য অফিসার মোঃ রিয়াদুল ইসলাম বলেন, ইউএনও সাহেব যেভাবে মানুষের সাথে মিশে গেছে সত্যিই অভাক হওয়ার মতো। এলাকার লোকজন তাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন- ‘কাল কখন অফিসে থাকবেন,আমাদের একটি সমস্যা নিয়ে আপনার কাছে আসবো’ আসলেই তিনি সাধারণ মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন বাস্তবায়ন ও শিবচর একটি আধুনিক উন্নত উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এটি আমার নৈতিক দায়িত্ব। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ স্যারের সহযোগিতা,আমাদের জেলা প্রশাসক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরা সব সময় আমার কাজে সহযোগিতা করছেন প্রকৃতপক্ষে ভালো কাজ করলে সবাই সহযোগিতা করেন। সর্বোপরি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমি হয়তো একদিন এই উপজেলায় থাকব না, কিন্তু থেকে যাবে আমার কর্ম।

এমএসি/আরএইচ