শরীয়তপুরে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

বুধবার ২৬ জানুয়ারী ২০২২ ১৫:২১


শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম আটপাড়া প্রাইমারী স্কুল থেকে কীর্তিনগর প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট-খোয়া-বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তায় এমন নিম্নমানের কাজ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দেখেও দেখছে না। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম আটপাড়া প্রাইমারী স্কুল থেকে চন্দ্রপুর ইউনিয়নর কীর্তিনগর প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত দুই হাজার ৩০০ মিটার রাস্তা সংস্কার করার জন্য ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মাদারীপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিলয় এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি করছেন।

মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাস্তার বিভিন্ন অংশে নিম্নমানের ইটের খোয়ার উপর প্রাইমকোর্ট দিয়ে তার উপর কার্পেটিং করা হচ্ছে। ২৩ তারিখে রাস্তায় প্রাইমকোর্ট মারা হয় কিন্তু ২৩ তারিখ রাতে বৃষ্টি হয়, ২৪ তারিখ সকালে সেই রাস্তায় কার্পেটিং করা হয়। বিটুমিনের পরিমাণ ও ব্যবহৃত পাথরের গ্রেডেশন নিয়েও আপত্তি করছে এলাকাবাসী।রাস্তায় এমন নিম্নমানের কাজ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দেখেও দেখছে না। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে কীর্তিনগর গ্রামের আব্দুল হাকিম জানান, ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোকের সামনেই দায়সারা গোছের রাস্তার কাজ করলেও অজ্ঞাত কারণে তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। একই গ্রামের ফুলবার হোসেন বলেন, শুরু থেকেই স্থানীয় লোকজন কাজের মান নিয়ে আপত্তি করছেন। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন গ্রামের লোকজনকে হুমকি দেন।
নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী তথা ইট, খোয়া ও পাথর ব্যবহার এবং যেনতেনভাবে কার্পেটিং, সঠিক পরিমাণ বিটুমিন ব্যবহার না করার কারণে রাস্তা নির্মিত হওয়ার অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাবে।

রাস্তা সংস্কারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জামাল শিকদার বলেন, রাস্তায় কাজে কোন সমস্যা নেই, সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে হচ্ছে, বৃষ্টি হলেও কাজ করা যায়। স্হানীয় লোকজন মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলেছেন।

ঠিকাদার সাইদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আসলে কাজটি করি না, কাজটি করে আমার ভাগিনা রিপন। তাই কেমন উপকরণ দিচ্ছে বলতে পারছি না। আমি খোঁজ নিচ্ছি।

শরীয়তপুরের এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান ফরাজী জানান, এ রাস্তার কাজের মান নিয়ে অনেকেই আমাকে অভিযোগ জানিয়েছে। পরে আমি লোক পাঠিয়ে কাজের মান ঠিক করে দিয়েছিলাম, এখন হয়তো সাইডের মিস্ত্রি, ও ঠিকাদারের লোক উপরে নিম্ন মানের খোয়া দিতে পারে।
আমি আগামীকাল কাজটি দেখার জন্য লোক পাঠাচ্ছি, পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এমএসি/আরএইচ