শরণখোলায় মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠণ

শনিবার ৯ এপ্রিল ২০২২ ২৩:০৪


:: মাসুম বিল্লাহ, শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ::

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশের ঘটনায় সহকারি সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য দু’জন হলেন, সিভিল সার্জন কার্য্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মেহেদী হাসান ও শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এসএম ফয়সাল আহমেদ।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত নার্স শামিমা আক্তার আবু হানিফ হাওলাদার (৬০) নামের এক রোগীর শরীরে দুইমাস আগে মেয়াদ শেষ হওয়া স্যালাইন পুশ করেন।

রোগীর ছেলে জাকারিয়া হাওলাদার জানান, শামীমা নামে এক নার্স প্রায় দুই মাস আগে মেয়াদ শেষ হওয়া স্যালাইন দেওয়ার পর থেকেই তার বাবার শরীরে জ্বালা যন্ত্রনা শুরু হয়। স্যালাইনের দুই তৃতীয়াংশ শেষ হবার সময় রোগীর বোন হাসিনা বেগম স্যালাইনের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ০২/২০২২ লেখা দেখতে পান। পরে নার্সকে ডেকে বিষয়টি জানালে দ্রæত স্যালাইন খুলে ফেলা হয়।  
অভিযুক্ত নার্স শামিমা আক্তার জানান, কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে সাধারন রোগীদের পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীদের উপচে পড়া ভীড় ছিল। যা সামাল দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছিলাম। সারারাত ডিউটি করে খুব সকালে ষ্টক থেকে এনে স্যালাইনটি পুশ করি। রোগীর স্বজনদের তাড়াহুড়ার কারনে মেয়াদের দিকটি খেয়াল করা হয়নি।

হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এসএম ফয়সাল আহমেদ জানান, রোগী আবু হানিফ হাওলাদার ইতিমধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তার সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে দোষী সাব্যস্থ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এমএসি/আরএইচ