রৌমারীতে সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ

সোমবার ২৫ এপ্রিল ২০২২ ১৪:২২


শামীম হোসাইন, রৌমারী ::
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা মোড় থেকে ফলুয়ারচর নৌকাঘাট পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে।বৃষ্টির কারণে কর্দমাক্ত সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। রৌমারী উপজেলা মোড় থেকে ফলুয়ারচর নৌকাঘাট পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। 

জেলা শহরে যাতায়াতের একটি রাস্তা এটি।খানাখন্দে ভরা সড়কে কোথাও কাদা,কোথাও পানি জমে আছে।অনেক কষ্ট করেই এই রাস্তায় যাতায়াত করতে হয়।গত বৃহস্পতিবার ফলুয়ারচর নৌকাঘাট এলাকায় কাদায় আটকে পড়ে পুলিশের একটি কাভার্ডভ্যান। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সেটি উদ্ধার করা হয়।  

কুটিরচর গ্রামের মাসুদ রানা বলেন,সামান্য বৃষ্টি হলে চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও যাওয়া যায় না।কেউ অসুস্থ হলে ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে অনেক কষ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। 

কুটিরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর কবির জনান,গত বন্যায় রাস্তাটিতে খানাখন্দে ভরে যায়,চলাচলের অযোগ্য হলেও রাস্তাটি এখনো সংস্কার করা হয় নি।  ফলুারচর গ্রামের আব্দুল ছবুরের ভাষ্যমতে,শতশত ট্রাক্টর চলে এই সড়ক দিয়ে, শুকনো মৌসুমে ধুলায় চলাচল করা যায়,আর সামান্য একটু বৃষ্টি হলে তো কাদা পানি জমে যায়।

আটো -বোরাক চালক রাশেদুল ইসলাম, মেহের আলী ও লিটন মিয়া জানান, প্রতিদিন ই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বেহাল সড়কে যাত্রী নিয়ে যেতে হয়, প্রায় ই গাড়ি উল্টে গিয়ে আহত হন অনেকে, কিন্ত তারা ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা চলাচল করতে হয় কেননা এই উপার্জন দিয়ে ই তাদের সংসার চলে।এসব দেখার কেউ নাই। 
 
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামের রুহুল আমিন নামে এক যাত্রী বলেন, তার অসুস্থ বাবাকে এই ভাঙা রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়, তিনি ক্ষোপে বলেন এসব বলে কোনো  লাভ নাই। 

 উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ্ এর দাবি,রাস্তাটি মেরামত করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে, খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। 
 উপজেলা প্রকৌশলী মামুনর রহমান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, একটি সার্ভে দল পরিদর্শন তাদের কাছে একটি টপোগ্রাফি সার্ভে চেয়েছিলাম।সেটি পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন দিলে দরপত্র আহ্বান করতে হবে। 

এমএসি/আরএইচ