রায়গঞ্জে মেশিনে রাতের আধারে ধান কাটছেন কৃষকেরা

বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ ১৩:৫৯


রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে শ্রমিক সংকট -রাতের আধারে মেশিন দিয়ে  ধান কাছেন কৃষকেরা। চলছে বোরো মৌসুম।শুরু হয়েছে গ্রাম গঞ্জের ধান কাটার মহা উৎসব।এর মাঝে লেগেই আছে অনাবৃষ্টি। জমিতে জেমে আছে পানি ।সেখান থেকে ধান কাটতে তেমন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।পেলেও পারিশ্রমিক গুনতে হচ্ছে দ্বীগুন ।

তাছাড়া শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে সময় লাগে বেশি, আবার এক সাথে ধান কাটা শুরু হলে পাওয়া যায়না পর্যাপ্ত পরিমানে শ্রমিক। এতে করে বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে নস্ট হয়ে যায়   রায়গঞ্জ উপজেলার  কৃষকদের কষ্টাজিত বোরো  ধান।তবে দ্রুত সোনার ফসল ঘরে তুলতে এবং শ্রমিক সংকট মেটাতে ধান কাটার মেশিন কম্বাইন হারভেস্টার এবং রিপার মেশিনের গুরুত্ব অপরিসীম।এতে করে শ্রমিক সংকট মেটার পাশাপাশি বোরো  ধান উৎপাদনে খরচ কমবে কৃষকের।

স্থানীয় রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্র্মতা জানান, খাদ্য চাহিদার বড় যোগান আসে এ অঞ্চল থেকে। বছরের একটি ফসল বোরো ধান কাটতে গিয়ে শ্রমিক সংকটের কারনে হিমশিম খেতে হয় কৃষকদের।

একসাথে ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ার কারনে শ্রমিকের চাহিদা বেঁড়ে যায়। আর চাহিদার পাশাপাশি বেড়ে যায় পারিশ্রমিক। এতে করে বোরো  ধান উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হয় এ অঞ্চলের  কৃষকদের।তবে এই চিন্তায় অনেকটা লাঘব করেছে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার।

উপজেলার কম্বাইন হারভেস্টার চালক কামরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই  মেশিন দিয়ে খুব সহজেই এখন ধান ঘরে তুলতে পারছে  উপজেলার কৃষকরা।এই মেশিন দিয়ে প্রতি ঘন্টায় দুই থেকে তিন বিঘা জমির বোরো  ধান কাটছে বলে তিনি জানান।

এই আধুকি প্রযুক্তি ব্যবহার করে   ঘন্টায় ৮ থেকে ১০লিটার  তেল খরচ হয়। আর প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্যে মাত্র ১০০ টাকা।অথচ শ্রমিক দিয়ে কাটলে ৫ থেকে ৭জন শ্রমিক সারাদিন এক বিঘা জমির ধান কাটতে পারে।এই তিন থেকে চার বিঘা জমির ধান শ্রমিক দিয়ে কাটতে গেলে বিঘা  প্রতি কৃষককে খরচ করতে হবে তিন থেকে চার হাজার টাকা।

দূরত্ব ভেদে খরচ বেড়ে যায় আরও বেশি। এতে করে খরচও বেড়ে যায় ধান উৎপাদনে। তাছাড়া শ্রমিক সংকটের কারনে কৃষক সঠিক সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারেননা। যার ফলে প্রকৃতিক দূর্যোগের কারনে ধান নস্ট হয়ে যায়।এজন্য করোনার সময়ে শ্রমিক সংকট মেটাতে এবং দ্রæত বোরো ধান ঘরে তুলতে সরকার প্রতিটি মেশিনের ওপর ১৪ লাখ টাকা ভুর্তিকি প্রদান করেছে।

রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদক সাইদুল ইসলাম আবিরকে জানান, প্রতি বছরই বোরো ধান কাটতে শ্রমিক সংকট তীব্র আকার ধারন করে এ অঞ্চলে। কৃষকরা শ্রমিক সংকটের কারনে সময়মত ধান ঘরে তুলতে পারে না। যার কারনে বৃষ্টি ও  অকাল বন্যাতে কৃষকদের ধান নস্ট হয়ে যায়। তবে কম্বাইন হারভেস্টার এবং রিপার মেশিন দিয়ে স্বল্প খরচে খুব দ্রুত কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারছেন।

এমএসি/আরএইচ