রাঙ্গাবালীতে ২০ হাজার হেক্টর জমির রবিশস্য পানির নিচে

বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ ১৬:১০


রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ::
অশনির প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে অসময়ে টানা তিন দিনের বৃষ্টিত জলাবদ্ধ হয়ে আছে উপকূলের নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি। প্রায় বিশ হাজার হেক্টর জমির রবিশস্য পানির নিচে পরে আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ  স্লুইজ গেটগুলা প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রনে থাকায় সময়মত পানি নিষ্কাশন করতে না পারায়  ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছে কৃষক। সবচেয়ে বেশি নষ্ট হচ্ছে মুকডাল। 

দেশের তিন ভাগের একভাগ মুগডাল আবাদ হয় পটুয়াখালীতে। এছাড়াও গত কয়েক বছর ধরে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে উৎপাদিত মুগডাল দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পারলে ব্যাহত হতে পারে রপ্তানি। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পরছেন উপকূলের চাষিরা।

 কৃষি নির্ভর জনপদ পটুয়াখালীর দূর্গম উপজেলা রাঙ্গাবালী। গত তিন দিনের বৃষ্টিতে তলিয় গেছে এখানকার ফসলি জমি। নষ্ট হচ্ছে মুকডাল,মরিচ,চিনাবাদাম,মিস্টি আলুসহ বিভিন রবিশস্য। জলাবদ্ধ হয়ে আছে শত শত একর জমি। চরমোন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইজ গেটগুলা প্রভাবশালীদর নিয়ন্ত্রনে থাকায় সময়মত পানি নিষ্কাশন করতে না পারায় বেশি ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছে এখানকার কৃষক। পানি অপসরণ করতে মহাব্যাস্ত সময় পার করছপন কৃষক-কৃষাণীরা। এদিকে পানি অপসারন করতে না করতেই বুধবার সকাল থেকে আকাশে কড়া রোদ। রোদের তাপে পানি গরম হয়ে মরে যাচ্ছে গাছ। এ অবস্থায় চরম বিপাকে রয়েছেন ভুক্তভোগী চাষীরা।

সরেজমিনে গতকাল বুধবার রাঙ্গাবালী উপজলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় গাছ,মুগডাল,বাদাম,ফলন ডাল,মরিচ,তিলসহ সবজি ক্ষেত গুলা পানিতে থই থই করছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষেত  গুলাতে  হাঁটু পানি জমা হয়েছে। হাটু পানির মধ্যে নেমে কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে দেখা যায়। বৃষ্টির পানিতে ডুব যাওয়ার কারণে মুগডাল, বাদাম ও আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ার বেশী ঝুকি রয়েছে। এতে লাখ লাখ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চাষিরা।

উপজলা কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে উপজলায় ১২ হাজার 
৯৫০ হেক্টর জমিতে মুগডাল, ১ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে বাদাম, ১ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে ফলন ডাল, ১ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ, ৮৫ হেক্টর জমিতে শাক সবজি, ৮ হেক্টর জমিতে ভূট্টা, ৪ হেক্টর জমিতে তিল আবাদ হয়েছে। অসময় বষ্টি হওয়ায় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

বাহেরচর এলাকার চাষি মাইকেল বলেন, ২ লাখ টাকা খরচ করে মুগডাল চাষ করছিলাম। 
সময় মতো শ্রমিক না পাওয়ার কারনে কোন ফসলই ঘর তুলতে পারিনি। সব গুলা ক্ষেত পানিতে থথ করতেছে। দ্রুত স্লুইজ গেট দিয়া পানি না নামালে আমাদের সব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ জানান, অশনির প্রভাব সৃষ্ট লঘুচাপের কারণ অসময় টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে আছে উপকূলের নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি। নতুন করে ঘুরপ দাড়ানার জন্য কৃষকদের জলাবদ্ধ জমিতে পানি অপসরন করা সহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি  আমরা।

এমএসি/আরএইচ