রাউজানে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

বুধবার ১৩ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০৫


শাহাদাত হোসেন, রাউজান ::
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।এক মাসের সিয়াম-সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর।এ ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রাউজানের শপিংমল ও মার্কেট গুলোতে ব্যাপক ভাবে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি কাপড় ও জুতার দোকানে বেচা-কেনা করার জন্য রাখা হয়েছে ২-৩জন কর্মচারীও।চলছে জমজমাট বেচা-কেনা।পছন্দের কাপড় কেনাকাটা করতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে খোঁজে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা।

ইতোমধ্যে অনেকেই নতুন আত্মীয় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ঈদের কাপড়চোপড় দিতে আগাম কেনাকাটা করতেও দেখা যায়।সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলা সদর ফকিরহাট ডিউ শপিংমলে চাঁদের হাসি কাপড়ের দোকানে ভারতীয় গাউন,চুন্দ্রি কাতান,চায়না সিল্ক,পাকিস্তানী জর্জেট, দেশীয় মসলিন, জামদানী, কাতান শাড়ী,লং ত্রিপিচসহ পছন্দের কাপড় ক্রয় করতে মহিলাদের ভিড় উপচে পড়া মতো।

এছাড়াও উপজেলা সদর ফকিরহাট, নোয়াপাড়া পথেরহাট,গহিরা বাজার, নোয়াজিষপুর নতুন হাট,হলদিয়া আমিরহাট, পাহাড়তলি,গচ্ছি নয়াহাটসহ বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে নানা বয়সী নারী-পুরুষ ও তরুণ-তরুণী পছন্দের জামাকাপড় কেনাকাটা করতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।মার্কেট গুলোতেই কম বেশি ঈদের বেচা-কেনা চলছে সকল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত।ফকিরহাট ডিউ শপিংমলের কাপড়ের ব্যবসায়ী চাঁদের হাসি স্বত্তাধিকারী সাহাবুউদ্দিন জানান,গত ২ বছর করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় তেমেন একটা ব্যবসা হয়নি।

এ বছর কোনো বিধিনিষেধ থাকায় ব্যবসায়ীদের স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।আশা করছি ব্যবসা ভালো হবে।তবে ১৫ রমজানের পর হতে পুরোদমে জমে উঠবে বেচা-কেনা।রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল্ হারুন বলেন, রমজান মাসে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে আসা ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় পুলিশি টইল জোরদার করা হয়েছে।

এমএসি/আরএইচ