মোহাম্মাদপুরের পাঠাও চালকদের নেই নির্দিষ্ট স্থান

শুক্রবার ১৫ এপ্রিল ২০২২ ১৭:১০


:: সাইফুল্লাহ, মোহাম্মাদপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি ::
 
মোহাম্মাদপুরের ঢাকা উদ্যানে পাঠাও চালকদের জন্য নেই নির্দিষ্ট কোন স্থান। এদের অনেকে পুলিশ বক্সের সামনে অথবা কেউ কেউ বিভিন্ন দোকানের সামনে মোটর বাইক রেখে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে। দোকানের সামনে রাখার কারণে প্রতিনিয়ত দোকান মালিকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কোন কোন সময় দোকান মালিকদের কথামতো বাইক সরালেও আবার কেউ না কেউ এসে বাইক রাখে ফলে সমস্যা থেকেই যায়।
 
দোকান মালিকগণের পাশাপাশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ঐ স্থানে অবস্থিত একটি মাদরাসার। মাদরাসার ছাত্রদের নিতে আসা অভিভাবকগণ তাদের ব্যবহৃত গাড়ি রাখার যায়গা পায় না। মাদরাসার দায়িত্বরত দারোয়ান বার বার বলার পরেও তারা ঐ স্থানে বাইক রেখে দেয়। এ সকল বাইকার কারোর কথার কোন পাত্তা না দিয়ে নিজের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দেয়।
 
প্রায় কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও নির্দিষ্ট কোন স্থান হয়নি ঢাকা উদ্যানের পাঠাও চালকদের । অনেক সময় বিভিন্ন নেতারা অঙ্গিকারের ফুলঝুড়ি দিলেও ফলস্রুতিতে আসলে কিছুই পাওয়া যায় না। এ সমস্যা শুধুমাত্র ঢাকা উদ্যানে নয়, মোহাম্মাদপুরের বাসস্টান্ড সহ নতুন চার রাস্তার মোড়েও পরিলক্ষিত হয়। যানজটের কারণে পুলিশ বার বার তাদের বের করে দিলেও ঐ একই স্থানে বাইক রেখে যাত্রী তুলে থাকে। ঐ সকল স্থানে ও দোকান মালিকদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় তারা। তবু ও এ বিষয় নিয়ে টনক নড়ে না পাঠাও সদস্যদের।
 
পাঠাও চালক আফজালুর রহমান বলেন, আমাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় বিভিন্ন স্থানে রেখে থাকি। অনেকে আশ্বাস দিয়েও তারা কথা রাখে নি। এমন কি আমাদের থেকে চাঁদা দাবি করেও তারা স্থান দিতে পারেনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন স্থানে রেখে থাকি। তবে আমরা দ্রুত এ সমস্যা থেকে উত্তরোণের পথ পাবো বলে আশাবাদী।
 
কয়েক দশক আগে গ্রাম অঞ্চলে সাধারণ মানুষ আরামে দ্রুত যাতায়াতের জন্য মোটর বাইক ব্যবহার করতো। তবে তারা সিরিয়াল অনুযায়ী একের পর এক গাড়ি ছাড়তো এবং তাদের থাকার জন্য নির্ধারিত জায়গা আছে। সমস্ত মোটর বাইক ঐ স্থানে অবস্থান করে এবং সেখান থেকে গাড়ি ছেড়ে যায়। 
 
 
 

এমএসি/আরএইচ