মোংলা বন্দরে ইনারবার ড্রেজিং নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন

রবিবার ১০ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৮


:: মিজানুর রহমান, মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ::
 
মোংলা বন্দরের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প ইনারবার ড্রেজিং নিয়ে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে। তারা বন্দরের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চায়। এ ষড়যন্ত্রের সাথে কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তি জড়িত। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।" রবিবার (১০ এপ্রিল) বন্দরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে এসব কথা বলেন, বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার।
 
তিনি বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষের হুমুম দখল করা জমিকে কৃষিজমি উল্লেখ করে একটি পক্ষ আন্দোলন করার পায়তারা করছে। অথচ এ প্রকল্পটি অনেক যাচাই বাচাই করে সরকারের অনুমোদন নিয়েই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে মানুষের জীবন জীবিকার কোন ক্ষতি হবেনা। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও জমির মালিকদের সাথে আলোচনা করে ড্রেজিং মাটি ফেলার জন্য জমি নির্ধারন করা হয়।
 
তিনি আরো বলেন, বন্দরে সাড়ে ৯ মিটার বাণিজ্যিক জাহাজ প্রবেশে জরুরীভাবে হাড়বাড়িয়া থেকে জেটি পর্যন্ত ২৩ দশমিক চার মিটার ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ সালের ২৩ মার্চ। ড্রেজিংয়ের এই বালু ফেলার জন্য মোংলা উপজেলার জয়মনিরগোলা হতে কাইনমারী পর্যন্ত বন্দর কর্তৃপক্ষ দুই বছরের জন্য ৭০০ একর জমি হুকুমদখল করে। ওই জমির মালিককে ক্ষতিপূরণসহ জমি ব্যবহার শেষে তাদের জমি ফেরৎ দেওয়া হবে। এছাড়া সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হওয়ায় ড্রেজিংয়ের মাটি কোন অবস্থাতাতেই সুন্দরবনের মধ্যে ফেলা যাবেনা। তাই বৃহত্তর স্বার্থে সুন্দরবনের বাইরে পশুর নদীর তীরবর্তী এলাকার জমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলতে হচ্ছে।
 
ইনারবার ড্রেজিং সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দরের জেটিতে বড় ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে। আমদানি রপ্তানি বাড়বে। এ বন্দরকে ঘিরে এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। মানুষের আর্থিক ও সামাজিক উন্নতি সাধিত হবে। ইনারবার ড্রেজিং বন্ধ হলে বন্দরে বড় জাহাজের আগমন বাঁধাগ্রস্ত হবে। দক্ষিণাঞ্চল তথা সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী (নৌ) কমান্ডার এ এফ এম জাহিদুর রহমান, হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন, ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্প পরিচালক মো. শওকত আলী, প্রধান হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানসহ বন্দরের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
 

এমএসি/আরএইচ