মির্জাগঞ্জে তরমুজের বাম্পার ফলন

রবিবার ১৭ এপ্রিল ২০২২ ১৩:২৭


আঃ রহিম সজল, মির্জাগঞ্জ ::
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে গরমের তৃপ্তিদায়ক ফল তরমুজ গত বছরের চেয়ে তিনগুণ বেশি আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষেতগুলোতে তরমুজের ব্যাপক সমারোহ দৃশ্যমান। ফল পরিপক্ক হওয়ায় ও পেঁকে যাওয়ায় ফসল তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ক্ষেত ঘিরে এক ধরনের প্রাণ চাঞ্চল্য কাজ করছে কৃষকের মাঝে। অন্যদিকে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজ বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাযায়, গত বছর ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছিল। চলতি বছরে ১৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের পশ্চিম সুবিদখালী ও ডোকলাখালী গ্রামের মোঃ ইউসুফ, সামসু, জাফর, নাশির, সোহাগ, দেলোয়ার সহ আরো অনেকে বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের স্বপ্নপূরণে কাজ করছে, তাদের পরামর্শে কৃষকরা ঝুঁকছেন তরমুজ চাষে। তবে অনেকের ক্ষেতে হঠাৎ করে ভাইরাসের আক্রমণ করায় কিছু কিছু অংশের গাছ ফলসহ নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও ফলন যা হয়েছে তাতে লাভবান হবেন বলেও দাবি করেন কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দেউলি সুবিদখালী ইউনিয়নের পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। কেউ পানি সেচ দিচ্ছেন, কেউবা আবার নিড়ানি দিয়ে তরমুজ গাছের গোড়া ঠিক করে দিচ্ছেন।

কেউ কেউ আবার রোগ প্রতিরোধের জন্য ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করছেন। আবহাওয়া তুলনামূলক অনুকূলে থাকায় এবং অধিক পরিমানে লাভের আশায় দিন রাত পরিশ্রম করছে তারা। রৗেদ্রের প্রচন্ড তাপদহের কষ্টের ছাপ ভুলে এখন তাদের চোখে শুধুই স্বপ্ন আর স্বপ্ন। এছাড়াও উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ গ্রামের বিস্তীর্ণ চরসহ বিভিন্ন এলাকায়  রয়েছে তরমুজের ক্ষেত। সেসব জায়গায়ও একই দৃশ্য দেখা যায়।

 ডোকলাখালী গ্রামের নাসির ও সোহাগ বলেন, তরমুজ চাষে খরচ কম ও সহজ। তাই তরমুজ চাষ করেছি। গাছগুলোর একটু বাড়তি যত্ম নিলে ফলন ভালো হয়। আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু হওয়ায় বাজারেও রয়েছে এসব তরমুজের বেশ চাহিদা। তাই তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছি।

পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের তরমুজ চাষী মো. ইউসুফ বলেন, গতবছর তরমুজ ভালো হওয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি এ বছর তরমুজ চাষ করেছি। প্রায় ৪ মাস আগে ৪ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। বৃষ্টি না হওয়াতে অতিরিক্ত খরচও হয়েছে সেচের জন্য। তবুও ক্ষেতে খুব ভালো ফলন হয়েছে। আমি অনেক লাভবান হবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরাফাত হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় তরমুজ বেশি চাষ হয়েছে। নিয়মিত তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করে চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন বলে আশাবাদী ।

এমএসি/আরএইচ