মিরুখালীতে চোখ জুড়ানো সরিষা খেত

বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৫৫


:: মো: মাহমুদুল হাসান ::
 
সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। শীতের পরন্ত বেলার হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। যেন সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন দেখছে কৃষক। 
 
দেশের অন্যতম একটি তৈল জাতীয় খাদ্যের নাম সরিষা। চলতি মৌসুমে মঠবাড়িয়ার মিরুখালীতে  রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। বেড়ে ওঠা গাছ আর ফুল দেখে অধিক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন এ ইউনিয়নের  কৃষকরা। মাঠে মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকায় দৃষ্টিজুড়ে শুধুই হলুদের সমারোহ। ফুলে ফুলে ভরে গেছে সরিষা ক্ষেত। সরিষার মাঠে এর মধ্যে দেখা মিলছে মৌমাছির মধু আহরণের দৃশ্য। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবারও সরিষা চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রত্যেক সরিষা চাষি অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে মনে করছে  কৃষি বিভাগ। 
 
মিরুখালীর উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান দৈনিক পর্যবেক্ষণ কে জানান যে , মিরুখালী সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। মিরুখালীর গাবতলা ও শহিদার পোলের মধ্যবর্তী কিছু চর অঞ্চলে কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের নিবিড় পর্যবেক্ষণে বিগত কয়েক বছর যাবৎ উচ্চফলনশীল সরিষা চাষ করে লাভবান হওয়ার বাড়ছে চাষের আগ্রহ। কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-৯, বিনা-৯/১০, সরিষা-১৫, সোনালি সরিষা (এসএস-৭৫) ও স্থানীয় টরি-৭ আবাদ হয়।
 
জানা গেছে, বিগত অনেক বছর যাবৎ এ অঞ্চলে সরিষা চাষ করে আসছে স্থানীয় কৃষকেরা ।  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান  কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত অধিক ফলনশীল  জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। এ জাতের সরিষা মাত্র ৭৫-৮০ দিনে ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় প্রায় দেড় হাজার কেজি। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়। এতে কৃষিজমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়। 
 
গাবতলা গ্রামের কয়েকজন চাষী জানান বিঘাপ্রতি প্রায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছে  বাম্পার ফলন হবে। গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভাল পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি ফলন ভালো ও দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরো অনেকেই ঝুঁকে পড়বে। 
 
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হাবিবুর রহমান  জানান, কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে  দিক-নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তিনি সব সময় তাদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
 
 

এমএসি/আরএইচ