মহিপুরে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে  অবৈধ এলপি গ্যাস : আতঙ্ক সাধারণ ব্যাবসায়ীরা 

রবিবার ১৭ অক্টোবর ২০২১ ১২:৩৩


:: মহিবুল্লাহ পাটোয়ারী, (মহিপুর -কুয়াকাটা) প্রতিনিধি ::
 
পটুয়াখালীর মহিপুরে  লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়াই হাটে বাজারে যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে (এলপিজি) গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রল ও অকটেনসহ দাহ্য পদাথের্র ব্যবসা। 
 
অনিরাপদভাবে প্রশাসনের চোখের সামনে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব জ্বালানি। অধিকাংশ দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা কেবলমাত্র একটি ট্রেড-লাইসেন্স নিয়েই চালাচ্ছে এ অবৈধ গ্যাস ও দাহ্য পদাথের্র ব্যবসা। একদিকে সরকার যেমন হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব অন্যদিকে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনা।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা করতে হলে একজন ব্যবসায়ীকে সরকারি বিধি মোতাবেক কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধাপাকা ঘর, অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা সংক্রান্ত ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই এলপি গ্যাস বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
 
মহিপুর বাজার, আলিপুর, কুয়াকাটাসহ মফস্বলের বিভিন্ন হাট বাজারেও কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়া দেদারছে পেট্রল, অকটেনসহ গ্যাস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। 
 
চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদি, মনোহারী, কসমেটিক্স, ওষুধসহ ইলেট্রনিক্স দোকানে ব্যবসায়ীরা রাস্তার ওপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন গ্যাস সিলিন্ডার। টেবিলের উপরে বোতল ও কন্টেইনারে ভরে বিক্রি করছেন পেট্রোল ও অকটেন। অন্য ব্যবসার পাশাপাশি নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন এলপি গ্যাস ও পেট্রোলের ব্যবসা। এতে যে কোনো মুহূর্তে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মাধ্যমে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বছরের পর বছর অবৈধভাবে ব্যবসা চালালেও নির্বিকার রয়েছে প্রশাসন।
 
মহিপুর  বাজারের কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস ব্যবসায়ীদের একটি চক্র সিন্ডিকেট করে সাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য হাতিয়ে নিচ্ছে।
 
স্থানীয়রা বলছেন, বাজারে প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই যে যার মতো গ্যাসের মূল্য আদায় করছে। স্থানীয় প্রশাসনসহ বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কোন অভিযান না থাকায় অবৈধভাবে গ্যাস এবং দাহ্য পদর্থের ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।
 
মহিপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম  বলেন, আইনের প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন বেড়ে চলেছে এই ব্যবসা। সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা খুবই বিপদজনক। এ ছাড়া যত্রতত্র এলপি গ্যাস সিলিন্ডার এবং দাহ্য পদার্থ বিক্রির কারণে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো:শহীদুল হক  বলেন, যেসব দোকানে সনদ ছাড়া অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার এবং দাহ্য পদার্থ বিক্রি করছে শিগগিরই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এসব দোকানির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

এমএসি/আরএইচ