মহিপুরে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

বুধবার ২ মার্চ ২০২২ ১৫:৩৫


:: মহিবুল্লাহ পাটোয়ারী, মহিপুর ::
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। এ নিয়ে চলছে তেলেসমাতি। মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা হয় এক রকম, বাজারে চিত্র দেখা যায় আরেক রকম।

অজুহাতের অভাব নেই। এক পক্ষ দোষ দিচ্ছে আরেক পক্ষের; মাঝখানে চিঁড়েচ্যাপ্টা হচ্ছে গরিব শীর্ণকায় মানুষ, যাদের শরীরে একটু তেল দরকার। অথচ তারাই এখন বিনা তেলে রান্না করার জোগাড়।

উপকূলীয় এলাকা পটুয়াখালীর মহিপুরের বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে ১ সপ্তাহ আগে যেই খোলা সয়াবিন তেল ছিলো লিটার প্রতি ১৫২ টাকা তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৮৮ টাকা লিটারে বেড়েছে ৩৬ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল যেটা ছিলো লিটার প্রতি বেড়েছে ৪০ টাকা, সরিষার তেল যা ছিলো ২০০ টাকা তা বেড়ে দাড়িয়েছে ২৮০ টাকা।

এক দিকে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা এই এলাকার জেলে সম্প্রদায় ও নিম্ন আয়সহ নির্ধারিত আয়ের মানুষ।

করোনার করুণ এই মুহূর্তে ভোজ্যতেলের দামের এই বাড়াবাড়িতে তারা চোখে অন্ধকার দেখছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ভোগ্যপণ্যের মূল্যে চলছে ঊর্ধ্বগতি। ভোজ্যতেল ছাড়াও বাজারে এখন মুরগির দাম বেশ চড়া। বেড়েছে চিনি, ডাল ও লবনের দামও। স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সবকিছু।

এমন সময়ে ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছে মানুষ। ফলে শুধু রান্নার তেলের পেছনেই এখন বাড়তি ব্যয় করতে হবে তাদের। গত দেড় মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষের। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ সইতে না পেরে পরিবর্তন আনছে জীবনধারায়। খাদ্যাভ্যাস ও আবাসস্থল পরিবর্তন করে কোনো রকমে টিকে থাকতে নানা পথ অবলম্বন করতে হচ্ছে তাদের।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. শহীদুল হক বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি তেলের দাম বৃদ্ধির নামে কোন অসাধু ব্যবসায়ী যেন কোন পন্যে অতিরিক্ত দাম না নিতে পারে।

এমএসি/আরএইচ