বৈরী আবহাওয়ায় শুটকি ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

সোমবার ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৩৯


জুলহাস আহমেদ, বরগুনা:
হঠাৎ মাঘ মাসের বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা বরগুনার শুটকি উৎপাদনকারীদের। জেলার দুই উপজেলায় প্রায় ৭ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।

বরগুনার পাথরঘাটা ও তালতলীর শুটকি পল্লীগুলো ঘুরে দেখা যায়, সাগর থেকে ধরে আনা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনে এনে বড় বড় স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। এসব মাছ শুঁটকি তৈরীর জন্য শুকাতে দেয়া হচ্ছে। তবে গত দুইদিনের হঠাৎ বৃষ্টিতে এসব কাঁচা মাছ ভিজে যায়। আকাশে মেঘ ও কায়াশা থাকায় কড়া রোদের দেখা মিলছে না উপকূলে। ফলে অধিকাংশ কাঁচা মাছই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে ৭ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হবে শুটকি উৎপাদনকারীদের। এ লোকসান কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহযোগিতা চান পাথরঘাটা ও তালতলীর শুটকি পল্লীর জেলেরা।

পাথরঘাটা শুটকি পল্লীর একাধিক শুটকি ব্যবসায়ীরা বলেন, এবার সাগরের মাছের দাম চড়া, তার উপরে আবার মাঘ মাসে বৃষ্টি। বৃষ্টিতে আমাদের কাঁচা মাছে পচন ধরেছে। এসব মাছ শুকানোর মতো পর্যাপ্ত রোদও পাচ্ছিনা আমরা। অকালে বৃষ্টি আর মেঘলা আবহাওয়ায় আমাদের ৯ থেকে ১০ টাকার লোকসান হবে। লোকসান কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহযোগিতা আশা করছি আমরা।

তালতলীর শুটকি পল্লীর একাধিক শুটকি ব্যবসায়ীরা বলেন, বিকেলে শুটকি তুমার (স্তপ) করে রেখেছিলাম আমরা। এক রাতের বৃষ্টিতে অর্ধেক মাছ পচে গেছে। ইতিমধ্যে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মাছ ফেলে দিতে হয়েছে। ক্ষতির পরিমান আরও বাড়বে। সরকার আমাদের আর্থিক সহযোগিতা অথবা বিনা সুদে নগদ লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করলে লোকসান কাটিয়ে পুনরায় ব্যবসা চালু করা যাবে।

তালতলীর শুটকি আড়ৎদার মহিউদ্দিন বলেন, আমার আড়তে পাথরঘাটা ও তালতলীর ৬০ জনের মত শুটকি উৎপাদনকারী রয়েছে। হটাৎ দুদিনের বৃষ্টিতে তাদের মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। দুই উপজেলা মিলিয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছি আমরা।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, শুটকি বৃষ্টির পানিতে ভিজলে এর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। বাজারে এর চাহিদা থাকে না। রোদ থাকলে ক্ষতির পরিমান কিছুটা কমতো। মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত শুটকি উৎপাদনকারীদের তালিকা করা হবে।

এবিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, বৃষ্টিতে যাদের মাছ নষ্ট হয়ে গেছে তাদের তালিকা তৈরী করবে উপজেলা প্রশাসন। তারপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।

এমএসি/আরএইচ