বাউফলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
রবিবার ২৪ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৩২
:: পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::
পটুয়াখালীর বাউফলে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠেপরে লেগেছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের স্থানীয় দুই নেতা। ভূক্তভোগি ওই শিক্ষার্থী উপজেলার কেশবপুর ফজলুল হক ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী (১৬)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানায়, ধুলিয়া ইউপির মেহেন্দিপুর গ্রামের যুবলীগের সহ-সভাপতি আল মামুনের চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে ভূক্তভোগি ওই শিক্ষার্থীকে বছরখানেক আগে থেকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে নিয়মিত ইভটিজিং শুরু করে একই ইউপির আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হালিম শিকদারের ছেলে ইমন শিকদার (২১)। মা না থাকায় দিনমজুর বাবার অনুপস্থিতির সুযোগে ওই শিক্ষার্থীর বসতঘরে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো ইমন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে তাকে। আর এ ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থী বিয়ের চাপ দিয়ে বিষপানে আত্মহননের হুমকী ও ডাকচিৎকার শুরু করলে বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হয়। কিন্তু এ ঘটনা থেকে ফয়দা লুফে নিতে গত বুধবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বসতঘরে পারিবারিক বৈঠক বসায় যুবলীগ নেতা মামুন ও আওয়ামীলীগ নেতা মালেক মেম্বরের নেতৃত্বে কয়েকজন। পড়াশুনা চালিয়ে বড় হলে বিষয়টি দেখা হবে ভূক্তভোগি ওই শিক্ষার্থীকে এমন আস্বস্ত করে এবং তাকে ও তার বাবাকে নজরবন্দি রেখেছেন ওই দুই নেতা। মোটা অঙ্কের সুবিধা নিয়ে গা ঢাকার নির্দেশ দেয় ইমনকে। এরপর থেকে ইমনও রয়েছে পলাতক। এদিকে প্রভাবশালী ওই নেতাদের হুমকীতে কোন প্রকার আইনি পদক্ষেপ কিংবা স্থানীয়দের কাছে মুখ খুলতেও পারছেন না ওই শিক্ষার্থীর দিন মজুর বাবা মোতাহার।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝেও বিরুপ সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বিস্তারিত পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক হাসিবুল, রফিক ও আসদুল নামে স্থানীয় কয়েক যুবক জানান, যুবলীগ নেতা মামুন (এলাকায় আর্মী মামুন নামে পরিচিত) দাঁড়ি রেখে ভাল সাজলেও গাঁজা সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। মোটা অঙ্কের ধান্দাবাজিতে মামুন ও মালেক মেম্বর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সঙ্গে বখাটে ইমনের অনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে। বিষয়টির সঠিক বিচার হওয়া উচিত।
এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা মালেক মেম্বরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ আমি ঢাকায় অবস্থান করায় বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে পারবনা। তবে দুই একদিন পরে আপনাদের জানাতে পারবো।
এমএসি/আরএইচ