বাউফলে ব্রিজে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

মঙ্গলবার ১৮ জানুয়ারী ২০২২ ১৬:৫৩


 

মিশু সিকদার, বাউফল:

পটুয়াখালীর বাউফল সদর ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্রিজ পরিত্যাক্ত অবস্থায় ব্যাবহৃত হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ওই ব্রিজের চলাচলকারী দুই তীরের ২০হাজারের বেশি জনসাধারণ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী। বিগত ১৫বছরের বেশি সময় ধরে ওই ব্রিজ দুটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে রয়েছে। যার ফলে তৈরি হচ্ছে চরম ভোগান্তি ও জনদুর্ভোগ।

সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব জৌতা গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের বাউফল-নওমালা খালের উপর ১কিলোমিটারের ব্যাবধানে ২টি বেলী ব্রিজ নির্মাণ করা হয় ২০০২ সালে(আনুমানিক)। নির্মাণের পর আর সংস্কার না হওয়ায় ব্রিজ দুটি ২০০৭ সালের পর থেকে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পরে। কিন্তু অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে ওই ব্রিজে মানুষের চলাচল বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
ওই ব্রিজ দুটি গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভাঙ্গা। ওই গ্রামের রারী বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজটি প্রায় বিশ বছর সময় ধরে চলা চলের অযোগ্য হয়ে পরে আছে। স্থানীয় লোকজন সেখানে ব্রিজের পিলারের উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছেন। এতে নানা সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে ব্রিজটি। এরই অদুরে ১০৪ নং পূর্ব জৌতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন অপর আরও একটি ব্রিজ প্রায় পরিত্যাক্ত। প্রতিদিন ওই বিদ্যালয়ে দুই থেকে তিন শত শিক্ষার্থী ব্রিজ পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করে।
কিন্তু ব্রিজটি নড়বড়ে হওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পারাপার হচ্ছেন। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। শিশু শিক্ষার্থীদের আভিযোগ, গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে তারা ভোগান্তির পোহাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় স্থানীয়রা নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করেছেন কিন্তু সম্প্রীতি ঝুঁকি মাথায় নিয়ে তারা ব্রিজটি পার হচ্ছেন।

স্থানীয় রেজাউল রারী পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ভাই আপনি এসেছেন? লিখেন আমরা অবহেলিত জনপদের নাগরিক। কোন নেতা আমাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে না। কোন সাংবাদিক আমাদের নিয়ে লিখে না। এই ব্রিজটি প্রায় ২০ বছর ধরে ভাঙ্গা অবস্থায় পারে আছে। শেষে আমারা নিজেদের অর্থায়নে ব্রিজের উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছি।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ব্রিজ দুটি পরিদর্শন করে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে

এমএসি/আরএইচ