বশেমুরবিপ্রবিতে ছাত্রগ্যাং - সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ : প্রভোস্ট লাঞ্চিত!

বুধবার ৬ এপ্রিল ২০২২ ২৩:১২


:: মেজবা রহমান, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি ::
 
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বশেমুরবিপ্রবি) আবাসিক হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রগ্যাং ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 
 
বুধবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে কয়েক ঘন্টা ব্যাপী এই ঘটনা ঘটে ।এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম ও তার গ্যাংয়ের সদস্যদের সীট দখল করতে আসে।
 
এসময়ে তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। ঐ সময়ে    অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড  ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মোঃ ফায়েকুজ্জামান উপস্থিত হলে তারা তাকে লাঞ্চিত করে। অভিযুক্ত গ্যাংলিডার  মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ইলেক্ট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের   ( বর্তমানে ইইই) ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। 
 
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গ্যাং জাহাঙ্গীর- ইয়ামিন প্যানেল শেখ রাসেল হলের আবাসিক সিট দখল করতে গেলে সাধারন শিক্ষার্থীদের  সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে তারা শেখ রাসেল হল পার্শ্ববর্তী স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস হলে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় তাদেরর সাথে স্থানীয়  বহিরাগত লোকদের উপস্থিতি দেখা যায়। পরবর্তীতে তিন হলের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হয় ঐ গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করে।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, পরিবার পরিজন থেকে আমরা অনেক দূরে থাকি। আবাসন ব্যবস্থার সংকট থাকায় প্রায়ই বিভিন্ন ছাত্র গ্যাংদের উৎপাত দেখতে হয়। তাদের দৈনন্দিন এসব কার্যক্রমে আমরা অতিষ্ঠ।  আশাকরি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করবে।
এ ব্যাপারে জানতে জাহাঙ্গীরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
 
 
 
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তিনি ব্যাস্ততার কথা বলে এড়িয়ে যান। 
 
এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট  মোঃ ফায়েকুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানতুল্য। প্রভোস্ট হিসেবে তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব ।তবে রাতের ঘটনাটি আসলই দুঃখজনক। তারা আমাকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে অপমানসূচক কথা বলে লাঞ্চিত করেছে।  আশাকরি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 
 
 
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলো বর্ধিতকরণ কার্যক্রম নির্মাণাধীন রয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে আবাসন সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এমএসি/আরএইচ