পাটের দাম কমে যাওয়ায় ভেড়ামারার পাট চাষিরা হতাশ

সোমবার ৩০ আগস্ট ২০২১ ১৮:৪১


:: সাইফুল ইসলাম, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি ::


কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় পাটের দাম কমে আসায় কৃষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এমৌসুমের শুরুর দিকে ভালো দাম পাওয়ায় উপজেলার কৃষকের মুখে ফুটেছে সন্তুষ্টির হাসি ফুটেছিল । কিন্তু কয়েকদিনের ব্যবধানে দাম কমে আসায় কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। উপজেলার কৃষকরা জানান, গত বছর এই সময় প্রতি মণ পাটের দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। পরবর্তীতে দাম বেড়ে যায় যায়। যেসকল ফরিয়ারা পাট কিনে গুদামজাত করেছিলেন তাঁরা ৫-৬ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন।


উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় গত বছরের তুলনায় এবছর আবাদও বেড়েছে এবং আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা এবং ভালো দাম পেলে আগামিতে পাটের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলায় পাটচাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জমি থেকে পাট কাটছেন, কেউ পাটের বোঝা বাঁধছেন, কেউ কেউ মাথায় করে সেই বোঝা নিয়ে যাচ্ছে নদী-খাল কিংবা পুকুরে।

আবার অনেক জায়গায় পাট জাগ দিচ্ছেন কৃষকরা। অনেকে আঁশ ছাড়িয়ে, পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে বিক্রির জন্য বাজারে নিচ্ছেন। পাটের সঙ্গে সঙ্গে পাটখড়ির চাহিদাও রয়েছে। কিন্তু জাগ দেওয়া পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুজুরি হিসেবে পাটখড়ি দিয়ে দিতে হচ্ছে । কৃষকরা জানান, উপজেলায় পাটের বিক্রির জন্য বিশেষায়িত হাট বা বাজার না থাকায় স্থানীয় ফরিয়াদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।


কিন্তু এ বছর মৌসুমের শুরুতেই বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। তাতে কৃষকদেরমুখে হাঁসি ফুটেছিল। কিন্ত হঠাৎই দাম কমে বর্তমানে ২হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । দাম যদি আরোও কমে যায় তাহলে আশাহত হবেন উপজেলার পাটচাষিরা। ভেড়ামারার উত্তর রেলগেট এলাকার পাটচাষি মিন্টু মিয়া বলেন, প্রথমকে পটির দাম বেশি ছিল, তখন ভালো লাগতো কিন্ত দাম কমে যাওয়ায় খুব একটা লাভ হবে না। কারণ আঁশ ছাড়ানোর মুজুরি হিসেবে পাটখড়ি মিয়ে দিতে হচ্ছে।


 ভেড়ামারা উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ শায়খুল ইসলাম জানান, উপজেলায় এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল মোট ৪হাজার২০৫ হেক্টর। লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে মোট আবাদ হয়েছে ৪হাজার ৩৫০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছিল ১১হাজার৩৫৩ মেট্রিক টন। আবাদ উৎপাদন হয়েছে ১১হাজার ৭৪৫মেট্রিকটন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পাটচাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয় বলে তিনি জানান।

 

এমএসি/আরএইচ