পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় নাজিরপুরের কৃষকরা 

রবিবার ১৯ জুন ২০২২ ১৬:০০


পিরোজপুর প্রতিনিধি ::
 বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা -৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আর এই সবকটি ইউনিয়নই কৃষি নির্ভর। বেশিরভাগ কৃষক কৃষিপণ্য বাজারজাত করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। কাঁচামাল পরিবহনে রাজধানী পৌছাঁতে ফেরি পারাপারে অধিক সময় লাগায় কৃষিপণ্য নষ্ট হয়ে যায় ।

এতে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণে কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী, মৎস্য ও মুরগির খামারিরা সেতুটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে।

পিরোজপুরের নাজিরপুর মূলত কৃষি প্রধান অঞ্চল, এখানে অধিক পরিমাণে মৎস্য ও মুরগির খামার রয়েছে। এ ছাড়া, কৃষি নির্ভর প্রধান অর্থকারী ফসল ধান, গম, ভুট্টা, সূর্যমূখি, সুপারি, নারিকেল, আমরা, পেয়ারা, আম, লিচু  মাল্টা, সবুজ শাক, সবজি, বিভিন্ন প্রকার তরি-তরকারি প্রচুর পরিমাণে চাষ হয়, যা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির উদ্দেশে পাঠানো হয়।

নাজিরপুরের ভাসমান সবজি চাষ দেশে  ব্যাপক পরিচিত। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আনুষ্ঠানিকভাবে ভাসমান পদ্ধতির চাষাবাদকে স্বীকৃতিও দিয়েছে। তারা স্বীকৃতিপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানা যায়। 

এসব কৃষিপণ্য, মাছ ও মুরগি পাইকারি ব্যবসায়ীরা গাওখালী বন্দর থেকে একমাত্র লঞ্চ যোগে পরিবহন করে ঢাকায় নিয়ে যান, যা পরিবহনে অধিক সময় লাগায় কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়।পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ঢাকায় ট্রাকে পরিবহন করলে সময় কম লাগবে এবং তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

নাজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দ্বিগবিজয় হাজরা বলেন, ‘এ অঞ্চলটি কৃষি প্রধান অঞ্চল। কৃষি খাতের প্রকার বাদ দিলে আয়ের কোনো উৎস থাকে না, বছরে কৃষি খাত থেকে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা আয় হয়। আর পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে আমাদের কৃষিপণ্য ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে মালামাল পরিবহন করে রাজধানীতে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে এবং তরতাজা পণ্য অধিক মূল্যে বিক্রি করতে পারবে, তাতে এ অঞ্চলে আগের চেয়ে আয় বাড়বে।

এমএসি/আরএইচ