পটুয়াখালীতে বিলীন ঠেলাগাড়ি

সোমবার ১১ এপ্রিল ২০২২ ১৮:৪৩


রইসুল ইমন, পটুয়াখালী ::

ধারণা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দে মানুষ চাকার আবিষ্কার করে। ভাড়ি বস্তু স্থানান্তরের জন্য ততকালীন মানবজাতি গাছের গুড়ি এবং গোলাকার শক্ত বস্তুকে চাকা হিসেবে ব্যবহার করতো। এই চাকার ব্যবহার থেকে ধীরে ধীরে ঠেলা গাড়ি আবিষ্কার করে মানুষ। এরপরে হাজার হাজার বছরের ইতিহাস। বাংলাদেশে ১৯০০ খ্রি. পর্যন্ত পণ্য সরবরাহ ও যাত্রী সেবার মাধ্যম ছিলো এই ঠেলা গাড়ি। এরপর গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন শুরু হলে, ঠেলা গাড়ি শুধু পণ্য সরবরাহের কাজে ব্যবহার করতো মানুষ। তাই বলাই যায় ঠেলা গাড়ি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী যানবাহন।

আধুনিকতার ছোয়ায় পটুয়াখালী জেলায় এখন সম্পূর্ণ রূপে বিলীন প্রায় এই ঐতিহ্যবাহী ঠেলা গাড়ি। সর্বশেষ ২০১০ সালের দিকেও গাছ, ধান-চাল সহ বিভিন্ন ভাড়ি পণ্য স্থানান্তরের জন্য ঠেলা গাড়ির ব্যবহার দেখা গিয়েছে। ২০১৪/১৫ সাল থেকে যান্ত্রিক বিভিন্ন গাড়ির ভীড়ে মানুষ বন্ধ করতে শুরু করে ঠেলা গাড়ির ব্যবহার। এখন মানুষ যেকোনো প্রয়োজনে ঘরে বসে ট্রাক, পিকাপ ভ্যান, অটোযান সহ নানা যান্ত্রিক গাড়ি পেয়ে যায়। তাই ঠেলা গাড়ির প্রয়োজন হয় না। ২০২২ সালে এসে এখন খুঁজলেও কোথাও ঠেলা গাড়ি দেখা যায় না। পটুয়াখালী সদর সহ কয়েকটি উপজেলা ঘুরে একটিও ঠেলা গাড়ির দেখা পাওয়া যায়। দেখা গেছে, যেসকল কাজে ঠেলা গাড়ি ব্যবহার করা হতো সেসকল কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে টমটম, ট্রলির মত অবৈধ যান। এসকল যানবাহনের নেই কোন বৈধ কাগজপত্র, নেই রাস্তায় চালানোর অনুমতি। ঐতিহ্যবাহী ঠেলা গাড়ি হারিয়ে গিয়েছে অনেক যান্ত্রিক পরিবহন এসেছে। যান্ত্রিক পরিবহন মানবজীবন অনেক সহজ করে দিয়েছে ঠিক কিন্তু বেড়েছে দুর্ঘটনার প্রকোপ।

 

এমএসি/আরএইচ