পটুয়াখালীতে ক্লোজ হওয়া পুলিশ সদস্যের ফিরিস্তি

শনিবার ১৮ জুন ২০২২ ২০:১৩


রইসুল ইমন, পটুয়াখালী ::
 
পটুয়াখালীতে মাদক সেবনে অভিযুক্ত মেজবাহ উদ্দিন নামের পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। বিধিবর্হিভুত ভাবে পুলিশ লাইন থেকে লোকালয়ে বের হওয়ার অপরাধে ওই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয় বলে নিশ্চিৎ করেছেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) আহমাদ মাঈনুল হাসান। 
 
এদিকে ঘটনার দিনে মাদকের আসর বসাতে বাঁধা দিতে গিয়ে নাটকিয় মামলার শিকার হয়ে জেলে হাজতে রয়েছেন বৃদ্ধ গোলাম সরোয়ার , তার দুই ভাগনে স্মরণ, সাব্বির এবং ভাড়াটিয়া নোমান।
 
সেই মামলার ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ প্রকৃত ঘটনা যাচাই-বাছাই না করে, প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষী গ্রহণ না করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে দিয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মিথ্যা মামলায় দায়ের করান।
 
ভুক্তভোগীদের দেয়া ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত ১২ জুন পটুয়াখালী পৌর এলাকার লতিব স্কুল সড়কের পান্থ লেনের কামাল ভবনের গোলাম সরোয়ারের ছোট ভাই ও পুলিশের তালিকা ভুক্ত মাদক সেবী গোলাম হায়দার টিটু, পটুয়াখালী পুলিশ লাইনে কর্মরত এসএএফ পুলিশ সদস্য মেজবাহ উদ্দিনসহ তাদের অপর সঙ্গীরা তাদের বাসার একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আসর বসায়। এসময় গোলাম সরোয়ারের ভাগনে স্বরন আহম্মেদ ও সাব্বির হোসেন ওই কক্ষে মাদকের আসর বসাতে বাধা দিলে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় পুলিশ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন। ঘটনার বরাত দিয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন- গত ৩০ জুন স্বরন আহম্মেদ ও সাব্বির হোসেনের অর্থাৎ গোলাম সরোয়ারের ছোট বোন মুক্তি আরা হ্যাপি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে গোসলসহ যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করেন ওই কক্ষে। তাই ওই কক্ষে মাদকের আসর বসাতে বিরত থাকতে বলেন বাসার সদস্যরা।
 
তাদের আপত্তি না শুনে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মেজবাহ তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন। এনিয়ে হাতাহাতি হলে তাদের ভাড়াটিয়া মীর নোমান এগিয়ে এসে ঘটনার প্রতিবাদ করে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। পরে পুলিশ সদস্য মেজবাহের দেয়া সংবাদে ডিবি পুলিশের সদস্য ও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গোলাম সরোয়ার, তার ভাগ্নে স্বরন আহম্মেদ ও সাব্বির এবং তাদের ভাড়াটিয়া মীর নোমানকে তুলে ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এসময় মাদক আসরের অপর সঙ্গী গোলাম হায়দার টিটু, সাবেক কাউন্সিলর লাবু, উজ্জল শীল কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পরে।
 
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ-কোন কিছু যাচাই না করে পুলিশ চার জনকে তুলে নিয়ে যায়। অথচ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানো কিছুক্ষন পূর্বে আসরের নামাজ আদায় করে বাসায় ফেরেন বৃদ্ধ গোলাম সরোয়ার। সুস্থ্য সবল চার জনকে বাসা থেকে তুলে নেয়ার পর পুলিশ মীর নোমানের হাত-পা পিটিয়ে ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মীর নোমানের স্ত্রী আফরোজা বেগম ও ওই বাসায় অন্যান্যরা। পরে অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যের স্ত্রী মোসাঃ মরিয়ম আক্তার জেরিনকে বাদী বানিয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দিয়ে ১৩ জুন তাদের জেলে পাঠানো হয়।

এমএসি/আরএইচ