নিয়ম বহির্ভূত চলছে স্কুল : শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

সোমবার ৪ এপ্রিল ২০২২ ২১:০৪


:: জুলহাস আহমেদ, বরগুনা ::
 
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সরকার প্রাথমিক  শিক্ষার সময়সূচির পরিবর্তন করেছে। চালু করা হয়েছে দুই শিফট। এক শিফটের কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত ও দুই শিফটের কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম দেখা গেছেন বরগুনা আমতলী উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়ন এর ৮৮নং পূর্ব কালীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । এখানে মানা হয়না সরকারি কোন নিয়ম কানুন। শিক্ষকরা নিজেদের মতো করে আসেন বিদ্যালয়ে, ছুটিও দেন ইচ্ছেমতো।
 
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর নিয়ম থাকলেও এখানে শিক্ষকরা আসতে আসতে বাজে ৯.০০ থেকে ১০ টা। বিদ্যালয়ে এসে কোনো রকমের ক্লাস নেন তারা। দুপুর একটা বাজতেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে বাড়ি যান তারা। এতে করে শিক্ষার্থীরা হারাচ্ছেন তাদের শিক্ষার অধিকার এবং বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে শিশুরা। সেই সঙ্গে দিন দিন বেসরকারি শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে  শিক্ষার্থীরা এমনটাই অভিযোগ সচেতন নাগরিকদের ।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ৮৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নেই। শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলছে। বিদ্যালয় একদম ফাঁকা। বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার কারণ জানতে চাইলে তারা জানায়, আমাদের শিক্ষকরা ছুটি দিয়েছেন তাই আমরা বাড়ি যাই।
 
স্কুলের পাশে ভানু বেগম বলে, স্যার ও আপারা সবাই আযানের সময় ছুটিতে চলে গেছে । 
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইফুল বলেন, আমি এসে দেখি স্কুল বন্ধ স্যার আপারা কিছু আগেই চলে গেছে স্কুল ছুটি দিয়ে।
 
স্কুলের পাশে জনাব বাদশা কাজী বলেন, একটা সময় ছুটি দিয়েছেন বিষয়টা আমি জানিনা, দিয়ে থাকেন তবে অন্যায় করেছেন।
 
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজ্জাক ওরফে টিপুর মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি জানান ১টার সময়ে স্কুল ছুটি দিয়েছি। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন এ কৈফত আপনাদের কাছে দিতে আমি বাধ্য নই এবং আপনারা কেন ফোন দিয়েছেন। দিলে উপরস্থ কর্মকর্তাদের কাছে দেব।
 
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান জানান, রমজান মাস উপলক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয় সকাল ৯ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে। কোন ইস্কুল যদি একটা সময় ছুটি দিয়ে দেন সেটা অন্যায় করেছেন। এবং খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ করে থাকেন খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

এমএসি/আরএইচ