দুমকিতে অবশেষে সেই প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে

বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:৩৫


সুমন মৃধা, দুমকি:
পটুয়াখালীর দুমকিতে বিয়ের দাবিতে টানা ১০দিনের অবস্থান ও অনশন অবশেষে সেই প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার মুরাদিয়া গ্রামের অনিল সরকারের বাড়িতে তার ছেলে প্রেমিক অসিম সরকারের (২৬) সাথে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের সুভাষ হালদারের কন্যা প্রেমিকা মুক্তা রানীর (২২) বিয়ে সম্পন্ন হয়। উভয় পরিবার ও স্বজনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শাস্ত্রীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ে অনুষ্ঠানে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুস সালাম, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সিকদার, ইউপি সদস্য মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌসীসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গে, গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৭ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের অনিল সরকারের ছেলে প্রেমিক অসিম সরকারের(২৬) বাড়িতে এসে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামের সুভাস হালদারের কন্যা প্রেমিকা মুক্তা হালদার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে।
প্রেমিকা মুক্তা রানীর আগমনের পর থেকেই অসিম সরকার আত্মগোপন করে এবং তার প্রভাবশালী পরিবার নানা ভাবে মুক্তা ও মুক্তার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং টাকা পয়সার মাধ্যমে বিয়ে এড়ানোর অপচেষ্টা করে আসছিল। কিন্ত প্রেমিকা মুক্তা রানী বিয়ের বিষয়ে অনঢ় থাকায় নানা ব্যর্থচেষ্টার পর অবশেষে বিয়ের মাধ্যমে সমস্যা নিরসন করতে বাধ্য হয়।

বর অসিম সরকারের বাবা অনিল সরকার বলেন, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধুকে ছেলের কর্মস্থল ভোলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
কনে মুক্তা রানী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমি আমার স্বামীকে নিয়ে আপনাদের আশীর্বাদে সংসার সাজাবো। আমি এখন খুশি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জান্নতুল ফেরদৌস বলেন, মেয়েটির বিয়ে হওয়াতে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। ওরা সুখে থাকুক।

এমএসি/আরএইচ