দুমকিতে অপহরণচেষ্টাকারীরা ৭দিনেও গ্রেফতার হয়নি

শনিবার ১৯ মার্চ ২০২২ ২১:৪৪


দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :: 

পটুয়াখালীর দুমকিতে গলায় রাম দা ঠেকিয়ে মুখচেপে ফিল্মিস্ট্যাইলে কলেজ শিক্ষিকা অপহরণ চেষ্টার ৭দিনেও জড়িতদের একজনও গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভ,মিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। পুলিশের প্রচছন্ন সহায়তায় প্রকাশ্য দিবালোকে থানার সামনে দিয়ে মাহেন্দ্রায় তুলে তাকে অপহরণচেষ্টা চালানো হয়েছে। 

মামলা নিতেও থানা পুলিশ গরিমশি করেছে। পুলিশের এমন উদাসীন ভ‚মিকায় আইনী সহায়তা বঞ্চিত ভিকটিম ওই কলেজ শিক্ষিকা তার দু’সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় কাটাচ্ছেন।

গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাব, দুমকির হলরুমে আয়োজিত জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার এল. এ.এম ইউনাইটেড মহিলা কলেজের পদার্থ বিদ্যা বিষয়ের প্রদর্শক অপহরণচেষ্টা মামলার বাদি ও ভিকটিম মোসা. তাহেরা আলী রুমা। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১২মার্চ বেলা ১২টায় কলেজের রুটিন ক্লাশ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে পূর্বথেকে ওঁথপেতে থাকা তার সাবেক স্বামী সাইফুল্লাহ জাহান মানিক ও তার সহদর পুলিশে কর্মরত আরিফুর রহমান কং নং ২৯৬৯৪ বিপি-৯২১২১৫০৪০৩ নেতৃত্বে ৭/৮জনের একটি অপহরণকারিচক্র আকস্মিক তার গলায় রাম দা ঠেকিয়ে মুখ চেপেধরে টেনে হিচড়ে মাহেন্দ্রায় তুলে নেয় এবং হত্যা চেষ্টা করে। স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে প্রায় এক কি.মিটার দুরত্বের বটতলা নামক স্থানে মাহেন্দ্রা আটকে তাকে উদ্ধার করেন।
 
এঘটনায় দুমকি থানায় একটি নিয়মিত অপহরণচেষ্টার মামলা (দুমকি থানার মামলা নং ৬, তাং ১২/৩/২২)দায়ের করা হলেও গত ৭দিনে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রকাশ্যে দিবালোকে পুলিশের নাকের ডগায় এমন জঘন্য ও নৃশংসতম হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ চেষ্টার মামলায় পুলিশ আসামীদের কাউকে গ্রেফতার না করায় আমি শঙ্কিত ও চরম নিরাপত্তা হীনতায় দিনাতিপাত করছি। 

স্থানীয় প্রশাসনের এমন উদাসীনতার সুযোগে আসামীরা ভবিষ্যতের যে কোন সময় আমাকে বা আমার ছেলে মেয়েকে তুলে নিয়ে জীবনের তরে শেষ করে দিতে পারে বলে তিনি শংঙ্কিত। তাই বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করা এবং উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ভিকটিম তাহেরা আলী রুমা জানায়, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের আঠারগাছিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহান বিডিআরের ছেলে যৌতুক লোভী সাইফুল্লাহ জাহান মানিকসহ তার পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠসহ দাম্পত্য কলহের জেরে ২০১৯সালের ২০ মার্চ তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তাদের সংসারে একছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তিনি দুমকিস্থ ভাড়া বাসায় থেকে নিয়মিত কলেজে চাকুরি করছেন। 

ডির্ভোসের পর থেকেই তার সাবেক স্বামী সাইফুল্লাহ মানিক নানা ভাবে তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এ ব্যাপারে দুমকি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা আছে। থানায় অভিযোগ করার পর থেকেই চক্রটি তাকে জীবনের তরে শেষ করে ফেলার অপচেষ্টা করে আসছে। 

বর্তমানে তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস ফরিদা ইয়াসমিন, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসি, ভিকটিমের কন্যা পরশমনি ও শিশু পুত্র যুবরাজ উপস্থিত ছিলেন। 

পুলিশের গড়িমশির অভিযোগ অস্বীকার করে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুস সালাম বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা এলাকা ছাড়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। 

এমএসি/আরএইচ