তাহিরপুরে মাটিয়ান ফসল রক্ষা বাঁধে ধস

বৃহস্পতিবার ৭ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৩৬


তাহিরপুর (সুুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মাটিয়ান হাওরের আনন্দনগর ফসল রক্ষা বাঁধটি ধসে যাওয়ায় ঘটনায় বাঁধ এলাকার ১০ ব্যক্তির নামে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন।

সম্প্রতি তাহিরপুর উপজেলার নদ-নদীগুলো পাহাড়ী ঢলের পানিতে উপচে মাটিয়ান হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের ৪৪নং প্রকল্প প্রবল পানির চাপে উত্তর দিকে ধসে পড়ে। এ ঘটনাটি এলাকাবাসী ও গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হলে ঘটনাস্থল সরজমিন পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

এমতাবস্থায় তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় ডিহিবিটি তহশীল অফিসের তহশীলদারকে ঘটনাস্থলটি সরজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

নির্দেশনা পেয়ে ডিহিবিটি তহশীল অফিসের তহশীলদার মো. রুহুল আমিন তদন্ত করে বাঁধ এলাকার নিশ্চিন্তপুর, আনন্দনগর ও লতিবপুর গ্রামের ১০ জন কৃষকের নামে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান।

তদন্তে অভিযুক্তরা হলেন- নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে ফজলুল হক, মৃত জোয়াদ আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন, আনন্দনগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আমির হোসেন, শামছুল হকের ছেলে মিজানুর, ইছব আলীর ছেলে আব্দুল হক ও আব্দুল মান্নান, নুরুল ইসলামের ছেলে ওয়াসিম, আব্দুল হেকিমের ছেলে ওয়াসিম, লতিবপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম ও আব্দুল গনির ছেলে আব্দুল আমিন।

ডিহিবিটি তহশীল অফিসের তহশীলদার মো. রুহুল আমিন বলেন, তিনি আনন্দনগর ফসল রক্ষা বাঁধটি ধসে যাওয়ার বিষয়ে স্থানীয় লোকদের সাথে আলোচনা পর্যালোচনা করে জানতে পান, বাঁধ সংলগ্ন উত্তর পাশে একটি বড় ধরনের কুড়ি (গর্ত) ছিল ওই গর্তটি সেচ করে বাঁধ এলাকার নিশ্চিন্তপুর, আনন্দনগর ও লতিবপুর গ্রামের ১০ জন ব্যক্তি সেচ করে মাছ ধরে বিক্রি করায় গর্তটি পানি শূন্য হয়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে নদীর পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে পানির চাপে বাঁধটি গর্তের দিকে অর্থাৎ উত্তর দিকে ধসে পড়ে। এতে করে মাটিয়ান হাওরের প্রায় ৬ হাজার বোর ফসলের ধান হুমকির মুখে পড়েছিল। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত ১০ জনকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় মামলার দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, ডিহিবিটি তহশীলদার কর্তৃক লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক মামলা রুজ্জু করা হবে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীর বলেন, গর্ত সেচ করে পানি শুকিয়ে মাছ ধরায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দামলা দায়েরের জন্য ডিহিবিটি তহশীলের তহশীলদারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এমএসি/আরএইচ