টিপ পরছোস কেন? তসলিমা নাসরিনের সংহতি

সোমবার ৪ এপ্রিল ২০২২ ১২:৪৬


পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদক ::
তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক লতা সমাদ্দারকে টিপ পরা নিয়ে পুলিশ সদস্যের গালি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আইন অঙ্গনের নারীরা বলছেন, টিপ নিয়ে এভাবে কোনো নারীকে গালি দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে টুইট করে সংহতি জানিয়েছেন লেখক তসলিমা নাসরিন। 

বেশকিছু ছবি জুড়ে দিয়ে সোমবার (৪ এপ্রিল) এক টুইটে সংহতি জানান নির্বাসিত এ লেখক। 

তসলিমা নাসরিন টুইটে বলেন, ‘কলেজ শিক্ষিক লতা সমাদ্দার টিপ পরার জন্য বাংলাদেশে এক ধর্মান্ধ পুলিশ দ্বারা হয়রানির শিকার হন। তারপর থেকে সকল মুক্তচিন্তার নারী-পুরুষরা টিপ পরে হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তারা চায় বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আঘাত না হোক।’

গত শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্তের শিকার হন তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, ‘হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক।

ঘটনার প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি।’ পরবর্তী সময়ে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার দাবি করছেন অনেকেই।

শিক্ষককে ‘বাজে গালি দেওয়ার’ পর তার গায়ে মোটরসাইকেলের চাকা তুলে হেনস্তার অভিযোগ ওঠা পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে সংসদেও। রবিবার (৩ এপ্রিল) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় সরকারি দলের সংরক্ষিত আসনের সুবর্ণা মুস্তাফা এ দাবি তোলেন।

সংসদে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে বিশেষ করে নারী সমাজের জন্য অত্যন্ত ঘৃণিত একটি ঘটনা। ইভটিজিং আমরা শুনে এসেছি। বখাটে ছেলেরা স্কুলের বাচ্চাবাচ্চা মেয়েদের ইভ টিজ করে। সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু আমি যখন দেশের আইনরক্ষাকারী কাউকে ইভটিজিংয়ের ভূমিকায় দেখি, তখন সেটা আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’

এমএসি/আরএইচ