জয়পুরহাটে কলেজ ছাত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেফতার 

রবিবার ৮ মে ২০২২ ১৬:১১


আবু রায়হান, জয়পুরহাট ::
জয়পুরহাটে অনার্স পড়ুয়া ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার সংক্রান্তে জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন এবং অপরদিকে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের শীক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।

রবিবার দুপুর ১ টায় জেলা পুলিশের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাসুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ঘটনার তদন্তকালে জানা গেছে, আসামি শ্রী রনি মহন্ত ,জাহিদ হাসান দীর্ঘদিন যাবৎ আয়েশাকে উত্যক্ত করত ও বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিত। যার কারণে আয়েশার ভাই মোস্তাক তাদের শাসিয়েছিল। উক্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাদেরকে  নজরদারিতে আনলে আসামী রনির বুকে খামচানো রক্তাক্ত দাগ দেখে সন্দেহ হলে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করে যে, আয়েশা সিদ্দিকাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে প্রায় এক সপ্তাহ থেকে সুযোগ খুঁজতে থাকে।

আয়েশা সিদ্দিকার ভাই মোস্তাক তার শ্বশুর বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার কথা রনি জানতে পেরে বাড়িতে সকলের অনুপস্থিতির বিষয়টি তার সহযোগী জাহিদকে জানায় এবং তারা দুজন গত ৭ মে রাত আনুমানিক ১ টার দিকে পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে  বাড়ির সামনের তালাবদ্ধ সদর গেটের ওয়াল টপকিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে আয়েশা সিদ্দিকার শয়ন ঘরের দরজা খোলা ও তাকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় মোবাইলে কথা বলতে দেখে তারা প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করে। 

পরে সুযোগ বুঝে রাত্রি অনুমান ২ ঘটিকার দিকে তারা ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক আয়েশা সিদদিকাকে বিবস্ত্র করে মুখ ও দুই হাত চেপে ধরে মুখের ভিতর তার পরনের প্লাজু(পায়জামা) ঢুকিয়ে  জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। 

এ সময় আয়েশা তার ইজ্জত রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টার এক পর্ধায়ে রনির বুকে খামটিয়ে ধরে। তখন আসামীরা আয়েশার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলা চেপে ধরলে এক পর্যায়ে আয়েশা সিদ্দিকা বিছানায় নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা মৃত অবস্থায় ফেলে রেখে পুনরায় ওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায় । 

সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন জৈবিক আলামত সংগ্রহ করে পরিক্ষাপূর্বক বিশেষজ্ঞ মতামত প্রাপ্তির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

অপরদিকে আয়েশা সিদ্দিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জারিতদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই লেখা ব্যানার ফেসটুন নিয়ে মানব বন্ধন করে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের শীক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।

এমএসি/আরএইচ