জয়পুরহাটে ইট ভাটার ধোয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক

মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল ২০২২ ১৫:২৯


আবু রায়হান, জয়পুরহাট ::
জয়পুরহাটে ইট ভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় শতধীক বিঘা জমির ধান, বাগানের মৌসুমী ফলসহ পোল্ট্রি খামারের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ও পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর এলাকার শতাধিক কৃষকের স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণিত হয়েছে।  

পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর এলাকার কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, প্রতি বিঘা ৭ হাজার টাকা দরে অগ্রীম টাকা দিয়ে অন্যের কাছ থেকে ৭ বিঘা জামি নিয়ে ধান চাষাবাদ করেছি। লাভ তো দুরের কথা এখন খরচের টাকা নিয়ে চিন্তিত। ইটভাটার গ্যাসের কারনে আমার মত এলাকার বহু কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে সেই দায়ভার নিবে কে? সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে মেসার্স বেলী ব্রিকস (বিবিসি) ইটভাটার কর্তৃপক্ষ আবু ইয়া হিয়া ও আর.বি.এম ইটভাটার প্রোপাইটর বেলায়েত হোসেন লেবু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের ইটভাটার কারণেই যে জমির সব ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা ঠিক নয়। তবে কিছু কিছু জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে সেগুলো তারা পরে দেখবে। 

পুরানাপৈল এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক গাজীউল হক বলেন, তার একবিঘা জমির ধান ও একবিঘা কলা বেলায়েত হোসেন লেবুর ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক টাকা পয়সা খরচ করে ফসলগুলো লাগিয়েছিলাম দু’পয়সা লাভের আশায় এখন আমাদের কি হবে?  আমরা এই ইট ভাটা মালিকের বিচার চাই এবং আমাদের ক্ষতিপূরুন চাই। 
 
কৃষক সাইদুর রহমান কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, এই বেলায়েত হোসেন লেবুর ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে আমার ৪ বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষক বলেন, আমি জমি পত্তনি নিয়ে ধান আবাদ করেছি আমি এখন কিভাবে এই খরচ পুসিয়ে নিবো বুঝতে পারছিনা। আমরা এই ভাটার মালিকের বিচার দাবি করছি সরকারের কাছে।

কৃষক ও কৃষক প্রতিনিধি বেলাল হোসেন বলেন, এই ভাটার বিষাক্ত ধোয়ার কারনে আমার আড়াই বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তিনি বলেন যতদিন যাচ্ছে নষ্টের পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন আমিসহ আমাদের যতকৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতি পূরুন দাবি করছি। সেই তিনি বলেন পুরানাপৈল এক কিলোমিটারের ভিতরে ৮-৯টি ভাটার কিভাবে অনুমদন দেওয়া হয়। সেটিও ক্ষতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন এই কৃষক প্রতিনিধি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তকে উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নিদের্শ করা হয়েছে।

এমএসি/আরএইচ