জালের বুননে চলে আমজাদের পঙ্গুত্ব জীবন

শনিবার ১৪ মে ২০২২ ১৫:৫৩


লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি ::
নাটোরের লালপুরের আমজাদ হোসেন সেফটিক ইনফেকশনে দুই পা আর হাতে সব আঙ্গুল হারিয়ে ত্রিশ বছরের পঙ্গুত্ব জীবনে হাঁপিয়ে উঠেছেন। তবে দমে যান নি, সারাদিন টং দোকানে আঙ্গুল বিহীন হাতে জাল বুনে চালাতে হয় তার সংসার।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ীর পাশেই বাঁশঝাড়ের নীচে টং দোকান আমজাদ আঙ্গুল বিহীন হাতে জাল বুনে চলেছেন। আমজাদ উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাদশা প্রামানিকের বড় ছেলে। বৃদ্ধ বাবা আর মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে নিয়ে ৩ জনের সংসার আমজাদের।

এসময় টং দোকানে কথা হয় তার সাথে। আমজাদ জানান, ত্রিশ বছর আগে সেপ্টিক ইনফেকশনে তার সম্পূর্ণ ২টি পা ও দুই হাতের সবকটি আঙ্গুল কেটে ফেলার পরপরই পঙ্গু স্বামীকে ছেড়ে চলে যায় তার স্ত্রী। তারপর থেকে টং দোকানে সারাদিন আঙ্গুল বিহীন হাতে জাল বুনেন তিনি।

তিনি আরো জানান, মাসে একটি জাল বুনে ১৮শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। সেই টাকা দিয়েই তিনি তার বৃদ্ধ বাবা আর মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে নিয়ে বেঁচে থাকার জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। আর প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডে কিছু টাকা পেলেও মাঝে মাঝে সেই টাকাও পায় না। নিজের চিকিৎসা, বাবা-মায়ের ঔষধসহ খাওয়া পড়া, সব মিলিয়ে যেন হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষটি।

এবিষয়ে কদিমচিলান ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, আমজাদের নামে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা চালু আছে। তারপরেও আমি আমার সাধ্যমত তার পাশে থাকার চেষ্টা করবো।

এমএসি/আরএইচ