চিলমারীতে হাঁস বদলে দিয়েছে সুমন’র ভাগ্য

বৃহস্পতিবার ১৩ জানুয়ারী ২০২২ ১৫:০০


চিলমারী উপজেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রবাস ফেরত সুমন মিয়ার দিন বদলেছে হাঁসের খামার করে। অভাবের সংসারে এসেছে স্বচ্ছতা।তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা পেলে আরো বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব বলেও জানান খামারী সুমন মিয়া।

উপজেলার রমনা ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা এমদাদুল হকের ছেলে সুমন মিয়া। অভাবের সংসারে বোঝা টানতে পাড়ি দেন ২০১৫ সালে বিদেশে।দীর্ঘ ৪বছর পর দুবাই থেকে দেশে আসেন ২০১৯ সালে।এসে ৫০হাজার টাকা দিয়ে ৪'শ খাকি ক্যাম্বেল হাঁস দিয়ে শুরু করেন হাঁস পালন।

তবে শুরুতেই যেন স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। ৪'শ হাঁসের মধ্যে ৩'শ হাঁসই মারা যায়। তবে কঠোর পরিশ্রম করে বর্তমানে হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন সুমন মিয়া।খামারী সুমন মিয়া জানান, দুই বছর আগে হাঁস পালন শুরু করেছি। বর্তমানে আমার খামারে আছে ২শত ৫০টি খাকি ক্যাম্বেল হাঁস। হাঁসের খামার থেকে প্রতিদিন ১৫০থেকে১৬০ টি করে ডিম পাই। বর্তমানে ১০০ডিম বিক্রি করছি ১২'শ টাকা করে।এতে প্রতি মাসে আয় হয় প্রায় ২৫ থেকে ৩০হাজার টাকা।

এতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অনেক ভালই কাটছে দিন। তিনি আরো বলেন, যদি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাকে সহযোগিতা করত তাহলে ভালো হত।এর আগে অনুদানের জন্য নাম নিলেও পরে বাদ যাই।

সুমন মিয়ার স্ত্রী ইসমোতারা বেগম জানান, আমার স্বামী র খামারে আমি একটু সহযোগিতা করছি যদি আমার স্বামী হাঁসের খামার না দিতো তাহলে আমাদের সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, পরবর্তীতে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা আসলে অবশ্যই করব।

এমএসি/আরএইচ