চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে কে পাচ্ছেন নৌকা প্রতীক?
মঙ্গলবার ৫ অক্টোবর ২০২১ ১৫:০১
ফেরদৌস সিহানুক শান্ত, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিলে তৃণমূলে ভোটের হাওয়া বইছে। ভোটের মাঠে নামার আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে দুই নেতার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। নৌকার মনোনয়ন কে পাচ্ছেন? চাঁপাইনবাবগঞ্জজুড়ে এখন এ আলোচনা চলছে।
গত নির্বাচনে সামান্য ভোটে পরাজিত হওয়া জেলা যুবলীগ সভাপতি সামিউল হক লিটন এবারও মনোনয়ন চাইছেন। একইসঙ্গে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোখলেসুর রহমানও নৌকা পেতে আলোচনায় রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে জোটে সরকারি দলের মনোনয়ন তা জানার অপেক্ষায় দলীয় নেতাকর্মীরা। এ দুই নেতার সমর্থকরা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সরব করে রেখেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, নৌকা পেলেই জয় নিশ্চিত। এ ধারণা থেকেই ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেতে এত তীব্র প্রতিযোগিতা। আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তে নৌকার টিকিট নিশ্চিত হবে। তবে এর আগ পর্যন্ত চলবে রাজনৈতিক হিসাবনিকেশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে কী ধরনের চমক উপহার দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ, তা এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া জেলা যুবলীগ সভাপতি সামিউল হক লিটনের পাশাপাশি মনোনয়নের দৌড়ে এবার আলোচনায় আছেন পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোখলেসুর রহমান। কিছুদিন আগেও তারা একে অপরের ‘বড় ভাই ছোট ভাই’ ছিলেন। উভয়ের মধ্যে ছিল গভীর সম্পর্ক। এবার দুজনই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। নৌকা পেতে দুই নেতার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শাসক দলের মনোনয়নকেই ভোটে জেতার নিশ্চয়তা মনে করা হচ্ছে। তাই নির্বাচনের মাঠে ভোটের চেয়ে বেশি লড়াই নৌকা পেতে।
এদিকে, দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও ভোটে অংশ নিতে ইচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা। কেউ কেউ রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সদর আসনের সাংসদ হারুনুর রশিদ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেছেন। তিনি ভোটের মাঠে কাজ করছেন। তবে নেতাকর্মীদের মাঝে তেমন কোন উৎসাহ দেখা যায়নি।
জানা গেছে, নির্দলীয় পদ্ধতিতে স্থানীয় নির্বাচন ভোটের চেয়েও বেশি ছিল উৎসব। রাজনীতির চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেত গোষ্ঠী ও আত্মীয়তার সমীকরণ। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন শুরুর পর তা পাল্টে গেছে। জাতীয় রাজনীতি ইস্যু হয়ে উঠেছে ভোটের নিয়ামক। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো কোণঠাসা থাকায় নির্বাচন একপেশে হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের আগ্রহও কম। একমাত্র জিজ্ঞাসা- কে পাচ্ছেন নৌকা প্রতীক?।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৯ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ১৬ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর এবং ২ নভেম্বর ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি সামিউল হক লিটন এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন সেটি অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। কারণ, গত নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হলেও রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে তিনি জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। গত নির্বাচনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার তিনি জয়ী হবেন।
আশাবাদী সামিউল হক লিটন বলেন, মেয়র পদে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। গত নির্বাচনে পরাজিত হলেও পৌরবাসির কল্যাণে কাজ করেছি, সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সবসময় পৌরবাসীর প্রয়োজনে আমি ছিলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী দল। এ দলে জনপ্রিয়তার মূল্যায়ন হয়। আমি শতভাগ আশাবাদী এবারও দলের মনোনয়ন পাব। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেন তাই চূড়ান্ত, আমাদের প্রিয় নেত্রীর সিদ্ধান্ত শিরোধার্য।
অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী মোখলেসুর রহমানের সমর্থকরা বলছেন, দীর্ঘদিন প্রচারণায় না থাকায় সরকার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে সামিউল হক লিটনের ব্যাকফুটে থাকাটা স্পষ্ট। যেহেতেু করোনাকালিন সময়ে পৌরবাসির পাশে ছিলেন মোখলেসুর রহমান। এছাড়াও দলীয় কর্মসূচিতেও তার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সে বিবেচনায় তার কর্মী-সমর্থকরাও মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদি।
নৌকার টিকিট পেতে প্রতিযোগিতায় থাকা মোখলেসুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগের মূল ধারার রাজনীতির সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। সেই কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতিদান দিতে নৌকার প্রতীকে প্রার্থী হতে চান তিনি। তিনি বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর করোনাকালীন কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। পৌর এলাকার অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামাদি দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, দল মনোনয়ন দিলে দলীয় স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবো।
স্থানীয়রা বলছেন, নৌকা পেলেই জয় নিশ্চিত। এ ধারণা থেকেই ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেতে এত তীব্র প্রতিযোগিতা। আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তে নৌকার টিকিট নিশ্চিত হবে। তবে এর আগ পর্যন্ত চলবে রাজনৈতিক হিসাবনিকেশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে কী ধরনের চমক উপহার দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ, তা এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া জেলা যুবলীগ সভাপতি সামিউল হক লিটনের পাশাপাশি মনোনয়নের দৌড়ে এবার আলোচনায় আছেন পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোখলেসুর রহমান। কিছুদিন আগেও তারা একে অপরের ‘বড় ভাই ছোট ভাই’ ছিলেন। উভয়ের মধ্যে ছিল গভীর সম্পর্ক। এবার দুজনই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। নৌকা পেতে দুই নেতার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শাসক দলের মনোনয়নকেই ভোটে জেতার নিশ্চয়তা মনে করা হচ্ছে। তাই নির্বাচনের মাঠে ভোটের চেয়ে বেশি লড়াই নৌকা পেতে।
এদিকে, দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও ভোটে অংশ নিতে ইচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা। কেউ কেউ রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সদর আসনের সাংসদ হারুনুর রশিদ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেছেন। তিনি ভোটের মাঠে কাজ করছেন। তবে নেতাকর্মীদের মাঝে তেমন কোন উৎসাহ দেখা যায়নি।
জানা গেছে, নির্দলীয় পদ্ধতিতে স্থানীয় নির্বাচন ভোটের চেয়েও বেশি ছিল উৎসব। রাজনীতির চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেত গোষ্ঠী ও আত্মীয়তার সমীকরণ। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন শুরুর পর তা পাল্টে গেছে। জাতীয় রাজনীতি ইস্যু হয়ে উঠেছে ভোটের নিয়ামক। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো কোণঠাসা থাকায় নির্বাচন একপেশে হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের আগ্রহও কম। একমাত্র জিজ্ঞাসা- কে পাচ্ছেন নৌকা প্রতীক?।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৯ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ১৬ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর এবং ২ নভেম্বর ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি সামিউল হক লিটন এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন সেটি অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। কারণ, গত নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হলেও রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে তিনি জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। গত নির্বাচনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার তিনি জয়ী হবেন।
আশাবাদী সামিউল হক লিটন বলেন, মেয়র পদে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। গত নির্বাচনে পরাজিত হলেও পৌরবাসির কল্যাণে কাজ করেছি, সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সবসময় পৌরবাসীর প্রয়োজনে আমি ছিলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী দল। এ দলে জনপ্রিয়তার মূল্যায়ন হয়। আমি শতভাগ আশাবাদী এবারও দলের মনোনয়ন পাব। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেন তাই চূড়ান্ত, আমাদের প্রিয় নেত্রীর সিদ্ধান্ত শিরোধার্য।
অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী মোখলেসুর রহমানের সমর্থকরা বলছেন, দীর্ঘদিন প্রচারণায় না থাকায় সরকার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে সামিউল হক লিটনের ব্যাকফুটে থাকাটা স্পষ্ট। যেহেতেু করোনাকালিন সময়ে পৌরবাসির পাশে ছিলেন মোখলেসুর রহমান। এছাড়াও দলীয় কর্মসূচিতেও তার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সে বিবেচনায় তার কর্মী-সমর্থকরাও মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদি।
নৌকার টিকিট পেতে প্রতিযোগিতায় থাকা মোখলেসুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগের মূল ধারার রাজনীতির সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। সেই কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতিদান দিতে নৌকার প্রতীকে প্রার্থী হতে চান তিনি। তিনি বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর করোনাকালীন কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। পৌর এলাকার অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামাদি দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, দল মনোনয়ন দিলে দলীয় স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবো।
এমএসি/আরএইচ