চর্মকারের কাজ করে স্বপ্ন বুনছেন স্কুল ছাত্র সঞ্জয়

বৃহস্পতিবার ৯ জুন ২০২২ ১৫:৩০


সাইদুল ইসলাম আবির, রায়গঞ্জ ::
ছয় সদস্যের সংসারে সেজো ছেলে সঞ্জয় (১২)। এই বয়সে পিতার অবর্তমানে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তাকে। সঙ্গে তার বড় ভাইও কাজ করে। সেও সাবালক হয়নি। তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া সঞ্জয় অর্ধেক বেলা স্কুলে পড়ে আর অর্ধেক বেলায় জুতা পলিশের কাজ করে বেড়ায়। দিন শেষে দুই ভাই মিলে কাজ করে যা আসে তাই দিয়ে চলে অভাবী ৬ সদস্যের সংসার।

সঞ্জয় ঘোষ (১২) সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার হাট পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত দেবেন ঘোষের পুত্র। তার দু 'চোখ ভরা স্বপ্ন, পড়াশোনা করে মানুষ হবে, চাকরী করবে, অভাবী সংসারের সুখ আসবে, বোনদের ভাল বিয়ে হবে, মায়ের মুখে হাসি ফুটবে। কিন্তু সে স্বপ্নে গুড়ে বালি।

টানাটানির সংসারে পড়াশোনা করা আর সম্ভব হচ্ছে না তার। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সংসারে অভাবও বাড়ছে দিন দিন।

সঞ্জয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার বাবা অনেক বছর আগেই মারা গেছে। তখন সে ছিলো ছোট। তিন বোন দুই ভাই ও মা সহ ৬ সদস্যর অভাবের সংসার তাদের। কোন জমি জমা নেই। বাপ দাদার ব্যবসাই ছিল জুতা পলিশের।

উত্তরাধিকার সুত্রে বাপ দাদার হাত বদল হয়ে জুতা পলিশের ব্রাশ ক্রিম তার হাতে উঠে এসেছে। সকালে স্কুলে গিয়ে ১ টার সময় এসে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত জুতা পালিশ এর কাজ করে সে।

আয় রোজগার যা হয় তাই দিয়ে চাল ডাল কিনে যেতে হয় বাড়ি। তার মা অলোকাও অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসারের যোগান দেন। চোখে মুখে ভাবনার ছাপ নিয়ে চলা জুতা পালিশের ক্রিম ব্রাশের সঙ্গে আটকে গেছে সঞ্জয়ের স্বপ্ন।

এমএসি/আরএইচ