চট্টগ্রামে ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে বৃষ্টি, ভোগান্তি নগরবাসীর

সোমবার ৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:২৫


:: ইব্রাহিম আল সোহাগ, চট্টগ্রাম ::

‘ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও আজ সোমবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। এতে নগরের বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে গেছে। সেই সঙ্গে রাস্তায় গাড়ি চলাচলও কম। ফলে সাধারণ মানুষকে কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপের কারণে গভীর সঞ্চালন মেঘমালা সৃষ্টি অব্যহত রয়েছে এবং বায়ুর তারতম্যের আধিক্যে বিরাজ করছে। সমুদ্রে সৃষ্ট এই গভীর নিম্নচাপের কারণে এই বৈরী আবহাওয়ায় হালকা হতে মাঝারি বা ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। নগর জুড়ে এ নিম্নচাপের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

সরেজমিনে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অফিস-আদালত যেতে কর্মজীবী মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছে না মানুষ। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে নগরীর সড়কগুলোতে যান চলাচল ছিল সীমিত। রাস্তায় যাত্রীও ছিল কম। তবে রিকশার আনাগোনা  রয়েছে। এমন বৈরী আবহাওয়ার সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে  হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের।  একদিকে বৃষ্টি, আবার ঠাণ্ডার প্রকোপে তাদের কাজ থেমে নেই।

অফিসগামি রোকসানা আক্তার জানান, দিনের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় অফিসে আসতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। বৃষ্টিতে যানবাহনের পরিমান কম থাকায় রাস্তায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। অন্যদিকে নগরির নিন্মাঞ্চল গুলোতে পানি উঠায় এই কষ্ট দ্বি-গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিভিন্ন সুপারসপ, হাসপাতাল ও ব্যাংকে ঘুরে দেখা যায়, এই বৃষ্টির প্রভাবে সুপারসপ গুলোতে ক্রেতা শূন্য প্রায়ই। হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও রোগী সংখ্যা অনেক কম দেখা গিয়েছে। গ্রাহক সেবার জন্য বসে থেকেও গ্রাহকের দেখা মিলছেনা ব্যাংক ও অফিস আদালতে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলঘ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। 

গতকাল দুপুর ১২ টার চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার  দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমেও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তরবঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালন মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং বায়ুর তারতম্যের আধিকত্য বিরাজ করছে। গভীর নিম্নচাপের কারণে উল্লেখিত সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

 

এমএসি/আরএইচ