গাইবান্ধায় দেহব্যবসায় স্ত্রী রাজি না হওয়ায় কুপিয়ে জখম

সোমবার ১১ অক্টোবর ২০২১ ১২:০৪


 
:: রাজু সরকার, গাইবান্ধা প্রতিনিধি ::
 
নেশার টাকার জন্য দেহব্যবসায় রাজি না হলে স্ত্রী হাসি বেগম (৩৫) কে অমানষিক নির্যাতন চালায় স্বামী সুমন মিয়া (৪৫)। কাঁচের গ্লাস ভেঙে স্ত্রী হাসি বেগমের চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মারাত্মক জখম করা হয়।  গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 
গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম পাশে কাউয়া চত্বর এলাকায় গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, কাউয়া চত্বর এলাকায় বসবাসরত মাদকসেবী স্বামী সুমন মিয়া গত কয়েকদিন থেকে স্ত্রী হাসি বেগমকে দেহব্যবসা করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে স্বামী সুমন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে একটি কাঁচের গ্লাস ভেঙে স্ত্রী হাসি বেগমের পেটে ও বাম চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
 
এসময় হাসি বেগমের আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার পেটে ৭টি সেলাই ও বাম চোখের নিচে ৩টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী সুমন মিয়া পলাতক রয়েছেন।
 
এব্যাপারে হাসি বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তার স্বামী নেশা করার জন্য তার কাছে প্রতিদিন এক হাজার করে টাকা দাবি করে আসছিল। সে টাকা কোথায় পাবে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে দেহব্যবসা করতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় সুমন মিয়া ও তার ছোট ভাই সজল মিয়া তাকে ভাঙা কাঁচের গ্লাস এবং হাত দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
 
তিনি আরও বলেন, তার বাবা-মা এমনকি নিকট আত্মীয়-স্বজন তেমন কেউ নেই। আমার এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে প্রায়ই সে শারীরিক নির্যাতন করে।
 
এব্যাপারে হাসপাতালে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক বলেন, হাসি বেগমের পেটে ৭টি সেলাই ও বাম চোখের নিচে ৩টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।

এমএসি/আরএইচ