গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাড়ছে গমের আবাদ

বুধবার ১৯ জানুয়ারী ২০২২ ১৬:০৭


জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কৃষির উপর নির্ভরশীল দেশের উত্তরের গাইবান্ধার সুুন্দরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। এখানে মোট কৃষি জমির ৬৫ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেন কৃষকরা।
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে তারাপুর, বেলকা, চন্ডিপুর ও শ্রীপুর ইউনিয়নে গমের আবাদ হয়। আলু তোলার পর মাঠে ইরি-বোরো আবাদে প্রচুর পানি থাকায় গমের আবাদের অসুবিধা পড়েছিল কৃষকরা। এজন্য গমের আবাদ কম হতো। কিন্তু চলতি মৌসুমে গমের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাটির গুণাগুণে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চর অঞ্চরের মাটি বেলে দোঁ-আশ হওয়ায় গম চাষের জন্য বেশ উপযোগী উঠেছে।

উপজেলায় চলতি ২০২১-২২ রবি মৌসুমে ১ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ মেট্রিক টন গম। চলতি রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের প্রতিজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০ কেজি গম, সঙ্গে সার ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি করে।

উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের যুগীপাড়া গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া জানান, ধানের জমির মাঝে গম আবাদে অসুবিধা হয়। তবে উচুঁ জমিগুলোতে প্রতি বছরই আমরা গম আবাদ করি। এই উপলক্ষে সরকার থেকে আমাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি অফিসার মো. ময়নুল আলম জানান, কৃষকদের মাঝে গম চাষে আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।এ উপলক্ষে চলতি মৌসুমে গম চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকদের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় উপজেলায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমরা কৃষকের জমিতে গিয়ে ফসল বিদ্ধির লক্ষে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. একে এম ফরিদুল হক বলেন, গম আমাদের দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক কম প্রতি বছরে বাহিরের দেশ থেকে দেশে গম কিনে আনতে হয়। তাই গমের ফসল বৃদ্ধি করতে আমরা মাঠ পর্যায় কৃসকদের আগ্রহী করতে সুপরামর্শ সহ সরকারি প্রণোদনা বীজ,সার ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি কৃষকদের। আশা করি এভাবে কাজ কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হবে এবং আমাদের দেশে গমের চাহিদা পুরণ হবে।

এমএসি/আরএইচ