খাবারে তেলাপোকা, জবির হলে ছাত্রীদের ক্ষোভ

শুক্রবার ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:০৪


মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, প্রতিবেদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) 'বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল' ক্যান্টিনের খাবারের মধ্যে তেলাপোকা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন হলের আবাসিক ছাত্রীরা।
শুক্রবার দুপুরে ক্যান্টিনে খাবার খেতে গেলে খিচুড়ির মধ্যে তেলাপোকা দেখতে পায় হলের এক আবাসিক ছাত্রী। দুপুরে হলের ক্যান্টিনে খাবার খেতে যায় হলের রুহিনা রুহি নামে এক শিক্ষার্থী। এ সময় তার পাশে বসে খাবার খাওয়া অনেক শিক্ষার্থীই খাবারের মধ্যে তেলাপোকা দেখতে পান। পরে খাবার নিয়ে দেখানো হলে নতুন করে খাবার দেয়া হলেও হলের ক্যান্টিনের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর বিষয়টিকে তেমন পাত্তা দেননি।
খাবারে শুধু তেলাপোকাই নয় হলের আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগ, ডাইনিংয়ের খাবারে প্রায়ই পোকা পাওয়া যায়। তেলাপোকা, মাছিসহ পোকা পাওয়ার বিষয়ে বারবার জানালেও দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিরা সেভাবে গুরুত্ব দেন না। এ ছাড়া খুব নিম্নমানের চাল দিয়ে ভাত রান্নাসহ বাসি ভাত পরিবেশনের অভিযোগ করেছেন তারা। অন্যদিকে গ্যাস সংকটে নিজেরা রান্না করেও খেতে না পারায় ছাত্রীদের অসুবিধায়ও পড়তে হচ্ছে।
ছাত্রীদের হল ডাইনিংয়ে দুপুর ও রাত মিলে প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য খাবার রান্না করা হয়। শুক্রবার খাবার খেতে গেলে খিচুড়ির মধ্যে তেলাপোকা দেখতে পেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফেসবুক পোস্ট করলে সহসাই হলের খাবার সহ নানা বিষয়ে অভিযোগের ঝড় উঠে।
হলের আবাসিক ছাত্রী সুমা জানান, 'আমিও কয়েকবার খাবারের মধ্যে মাছি পেয়েছি। বারবার একই ঘটনা ঘটছে। দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বললেও তারা আমলে নিচ্ছেনা।'
সমাপ্তি নামের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, 'হলে পানির সমস্যা, গ্যাস নাই, কিচেন নোংরা৷ এখন আবার তেলাপোকা ভর্তাও খেতে হচ্ছে। অভিযোগ জানালেও কোনো কাজে আসছেনা। তারা কোনো গ্রাহ্যই করছেনা।'
এদিকে চাল বা ডালে পোকা ছিলো না দাবি করে ক্যান্টিন ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, রান্নাঘরের উপরে টিনের ছাউনি আছে। সেখানে অনেক ময়লা থাকায় পোকামাকড় আসতে পারে। অনেকদিন ধরে ময়লা সরানো হচ্ছে না, তেলাপোকা তো আসবেই! অনেক সময় ছাত্রীরাও উপর থেকে ময়লা ফেললে ক্যান্টিনের খাবারের ঘরে এসে পড়ে। এসব থেকে তেলাপোকা আসে।
জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম এ ব্যাপারে অবগত হয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি হলের ক্যান্টিন কমিটির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিব। হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন হাউজ টিউটর ছুটিতে থাকায় একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
গ্যাস সংকটের ব্যাপারে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা প্রধান প্রকৌশলী এবং বাপেক্স বরাবর চিঠি প্রদান করেছি। উপাচার্যের সঙ্গেও বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এটার সমাধান হবে।

এমএসি/আরএইচ